জুমবাংলা ডেস্ক : আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হ*ত্যার আসামি নাজমুস সাদাতকে দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
ভারতে পালানোর সময় আবরার হ*ত্যা মামলার আসামি সাদাতকে গ্রেফতার করা হয়। নাজমুস সাদাত ওই এলাকার ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের একটি এনজিওর কর্মী পরিচয়ে এলাকায় বসবাস করছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার কাটলা বাজারের ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ থেকে বিরামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার নাজমুস সাদাত জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। সাদাত বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আবরার হ*ত্যার পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি।
বিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মনির বলেন, থানা পুলিশের সহায়তায় ডিএমপির ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর কাটলা বাজারের রফিকুল ইসলামের ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ এনজিওতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে নাজমুস সাদাতকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নেয়া হয়।
‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির’ ম্যানেজার মো. লিটন হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে জয়পুরহাটের সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিজের ভাগিনা পরিচয়ে নাজমুস সাদাতকে রেখে যান। আবরার হ*ত্যা মামলার আসামি সাদাত এটা জানতাম না আমি। সাবেক ওই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির’ পরিচালক রফিকুল ইসলামের পরিচিত।
স্থানীয় কাটলা ইউপির চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, আলোচিত আবরার হ*ত্যা মামলার আসামি নাজমুস সাদাত ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির’ কর্মী পরিচয়ে লুকিয়ে ছিলেন। সাদাত হ*ত্যা মামলার আসামি বিষয়টি আমরা জানতাম না।
এ বিষয়ে জানতে ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির’ পরিচালককের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।