জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাট পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টুকে এবার শোকজপত্র পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে তাকে নকশা পরিবর্তন করে শহীদ মিনার পুনর্নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে লিগ্যাল নোটিশ দেয় লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেয়র নিজেই। সোমবার দুপুরে লালমনিরহাটের সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এ শোকজপত্র পাঠায়।
বৃহস্পতিবার পৌর মেয়র রিন্টুকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান লালমনিরহাট জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান হাফিজ। কোনো জবাব না দেয়ায় লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক সৈয়দ সুফী মো. তাহেরুল ইসলাম সোমবার আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত এ আদেশ দেয়।
অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান জানান, পৌরসভার সাপ্টানা গ্রামের মাতৃ মঙ্গল কেন্দ্রের পাশে ১৯৭২ সালে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমির ওপর সড়কের পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই থেকে জেলাবাসী বিভিন্ন কর্মসূচি এখানে পালন করছেন। এরইমধ্যে শহীদ মিনারের পাশে বাড়ি নির্মাণ করেন প্রভাবশালী শাখাওয়াত হোসেন সুমন খান। যা শহীদ মিনারের কারণে দৃষ্টির আড়ালে পড়ে।
প্রভাবশালীর বাড়িটি দৃষ্টিনন্দন করতে শহীদ মিনারটি স্থানান্তর করতে ও পুনর্নির্মাণের নামে নকশা পরিবর্তন করা হয়। পরে শহীদ মিনার নির্মাণ শুরু করে পৌরসভা। ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৭ টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মাণ করা শহীদ মিনারের মূল বেদি পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব কোনায় নেয়া হয়। ফলে জৌলুস ও মর্যাদা হারাচ্ছে শহীদ মিনার।
এদিকে পুনর্নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে আন্দোলনে নামে জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ মানুষ। সরকারের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও শহীদ মিনারের সৌন্দর্য ফেরাতে ব্যর্থ হয়। পরে লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দ সুফী মো. তাহেরুল ইসলাম আদালতের দ্বারস্থ হন।
এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে মেয়র রিয়াজুল ইসলাম রিন্টুর মুঠোফোনে কয়েকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।