জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের সামনে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলার আরেক আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জৈন্তাপুরের হরিপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মাহফুজ কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালিক আহমদ ছেলে।
শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর মধ্যে তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে।
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে শুক্রবার রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ সুরমা এলাকার এক নবদম্পতিকে এমসি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে থেকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। তাদের ধরে ছাত্রাবাসের একেবারে শেষ প্রান্তে সাত নম্বর ব্লকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পুলিশ স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে। পরে তরুণীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছয় আসামির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দু-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় নাম উল্লেখ করা আসামিরা হলেন বালাগঞ্জের চান্দাইপাড়া গ্রামের সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদরের তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনিপাড়ার মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের অর্জুন লস্কর (২৫), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)।
এদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত এবং অন্যরা এমসি কলেজের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র। সাইফুর, রনি ও মাহফুজুর এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র এবং অর্জুন এমসি কলেজের সাবেক ছাত্র।
মামলার আসামিরা ছাত্রলীগের ‘সক্রিয়কর্মী’ বলে পুলিশ ও দলীয়সূত্র নিশ্চিত করেছে। করোনার কারণে কলেজ ছাত্রাবাস বন্ধ থাকলেও এরা প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রাবাসের বেশ কয়েকটি কক্ষ দখল করে সেখানে বসবাস করছিল এবং নানা অপকর্ম করছিল। সন্ধ্যার পরে তারা মদ-জুয়ার আসর বসাত বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।