একে করোনা নিয়ে ভয়ানক দুশ্চিন্তায় গোটা বিশ্ব। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলছে সেই সাথে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কোন ও অবস্থাতেই মৃত্যু মিছিলের লাগাম টানা যাচ্ছে না। এবার তার সঙ্গে জুড়ল আরেক আতঙ্ক, নাম ‘লাসা’ ভাইরাস।
নাইজেরিয়ার তিনটি প্রদেশে ইতিমধ্যেই লাসা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে মূলত ইঁদুর থেকে। ‘লাসা’ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত ২০২০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহেই আটজনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম তথা সংবাদ সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত আন্ডো, ডেলটা এবং কাদুনা প্রদেশে চারজন স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
এখনও পর্যন্ত মোট ৪৭২ জন ‘লাসা’ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এই জ্বর প্রধানত মলমূত্র ও গৃহস্থালীর জিনিসপত্রের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। মূলত নেংটি ইঁদুর থেকেই ছড়ায় ভাইরাস। তবে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই জ্বর প্রাণঘাতী নয়। খুব কম ক্ষেত্রেই মানুষের মৃত্যু হয়।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘লাসা’র কোনও উপসর্গ থাকে না। কখনও কখনও কারও কারও উপসর্গ দেখা ধায়। ‘লাসা’ জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করেই অনেকটা বেড়ে যায়। সঙ্গে মাথাব্যথা, মুখে ঘা, মাংসপেশিতে ঘা, ত্বকের নীচে রক্তরক্ষণ। এমনকি হৃদযন্ত্র বা কিডনি অচল হয়ে যেতে পারে।
এই জ্বরে আক্রান্ত হলে ছয় থেকে ২১ দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তবে রোগীর সংস্পর্শ এলেই পাশের জনের মধ্যে তা সংক্রামিত হতে পারে। এছাড়াও আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য কারও শরীরে রক্ত বা রক্তজাতীয় পদার্থ, থুতু সঞ্চালনের মাধ্যমেও ছড়ায় ‘লাসা’।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় প্রতিবছরই লাসা’র সংক্রমণ দেখা যায় নাইজেরিয়ার এই অঞ্চলে। অত্যন্ত গরম পড়লে, আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে গেলে জানুয়ারির মাঝামাঝির পর থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
হু জানিয়েছে, এই রোগের চিকিৎসায় রিবাভিরিন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে নাইজেরিয়ার মাত্র পাঁচটি ল্যাবরেটরিতেই এই রোগের শনাক্তকরণ পরীক্ষা চলছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।