গত বছর ডিসেম্বর করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও এখনো ভাইরাসটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যায়নি। এ নিয়ে গতকাল বিবিসি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
১. আক্রান্ত কত : সারাবিশ্বে কত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এটি অত্যন্ত মৌলিক বিষয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেই দেখা যায় আংশিক ফলাফল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে কত লোকের শরীরে করোনা ভাইরাস সংক্রামণ ঘটিয়েছে তা এখনো অজানা; কেননা অনেকের শরীরে এ ভাইরাস সংক্রামিত হলেও লক্ষণ কম প্রকাশ পায়।
২. প্রকৃত মৃতের সংখ্যা : করোনা ভাইরাসের কারণে প্রকৃতপক্ষে কত লোকের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়টি এখনো অজানা; কেননা অনেকের শরীরে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ থাকে না।
৩. সবগুলো উপসর্গ : করোনা সংক্রামণের প্রধান উপসর্গগুলো আমাদের জানা যেমনÑ জ্বর, শুকনা কাশি, শ্বাসকষ্ট। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, অজ্ঞান হওয়াসহ বিবিধ উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ঠা-ার প্রকোপ দেখা গেছে। কিন্তু গবেষণা বলছে, কিছু লোক উপসর্গ ছাড়াই তারা করোনা ভাইরাস বহন করতে পারেন।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে : করোনা ভাইরাসে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ক্রিয়া কীভাবে করে তা এখনো ঠিকঠাক জানা যায়নি।
৫. কোথায় উৎপত্তি : বলা হয়ে থাকে ২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানের প্রাণীর বাজার থেকে ছড়িয়েছে। কিন্তু করোরনার দাপ্তরিক নাম হলো সার্স-কভ-২, যা সার্সের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং যা বাদুড় দ্বারা সংক্রামিত হয়ে থাকে। এখানে একটি ‘মিসিং লিংক’ রয়েছে।
৬. গ্রীষ্মে কম সংক্রমণ : ঠা-াজ্বরের প্রকোপ সাধারণত গরমের চেয়ে শীতে বেশি থাকে। কিন্তু এটি এখনো অজানা যে করোনা ভাইরাস গরমকালে কম ছড়ায়।
৭. কিছু লোকের সংক্রামণ কেন মারাত্মক হয় : সংক্রামিতদের মাঝে ২০% লোকের শরীরে ভাইরাসটি কেন মারত্মক আকার ধারণ করে তা এখনো জানা যায়নি।
৮. ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা : কোনো মাধ্যম ফলাও করে প্রচার করছে যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইমিউন সিস্টেমের কার্যকাতিরাই প্রধান অস্ত্র; কিন্তু এ বিষয়ে এখনো পর্যাপ্ত গবেষণা তথ্য নেই।
৯. মিউটেশন : ভাইরাস সব সময় মিউটেশন বা নিজের মধ্যে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মিউটেশনের ফলে বড় কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।