জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাকালেও থেমে থাকেনি কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে মানুষের দান-সদকা। গত ছয় মাসে মসজিদটির দানবাক্সে জমা পড়েছে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা।
শনিবার সকালে মসজিদটির দানবাক্স খোলা হয়। সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত চলে গণনা। গণনা শেষে দেখা যায় এতে রয়েছে এক কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭১ টাকা। এছাড়াও ছিল বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রৌপ্যালঙ্কার।
সাধারণত তিন মাস অন্তর অন্তর মসজিদে আটটি দানবাক্স খোলা হয়। কিন্তু এবার করোনা মহামারির কারণে ছয় মাস সাতদিন পর খোলা হয় দানবাক্সগুলো।
দানবাক্স খোলার সময় পাগলা মসজিদের সাধারণ সম্পাদক, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ ও সদস্য সাইফুল হক মোল্লা দুলুসহ জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সারোয়ার মুর্শেদ চৌধুরী টাকা গণনার কাজ পরিদর্শন করেন। মসজিদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত মাদ্রাসা এবং এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গোনার কাজে অংশ নেন।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা এবং বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণ-রৌপ্যালঙ্কার।
মসজিদটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এসব অর্থ এ মসজিদ, মসজিদ ক্যাম্পাসে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ জেলার সব মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।