আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাতারের ওপর সৌদি জোটের নিষেধাজ্ঞার তিন বছরেও সুরাহা হয়নি। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে অবরোধ আরোপ করা হলেও শুরু থেকেই তা অস্বীকার করে আসছে কাতার। অবরোধের কারণে কাতারের চাইতে সৌদি জোট বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
২০১৭ সালের ৫ জুন আকস্মিকভাবে কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পারস্য উপসাগরীয় প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনে করেন, সৌদি জোটের ঐ অবরোধ প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করলেও, এখন তা আর নেই। অবরোধের কারণে নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়েছে কাতার।
একজন বলেন, ‘আগে সৌদি দুবাইয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিলো। অনেক কিছু আগে কাতারে দিত তারা। কিন্তু কাতার এখন নিজেরাই সব করে নিছে।’
আরেকজন বলেন, ‘এই অবরোধে বরং সৌদি জোট নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কাতার স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছে।’
কাতার প্রবাসী একজন বাংলাদেশি বলেন, ‘কাতারে অবরোধ দেওয়ার আগে আড়াইলাখ বাঙালি কাজ করতো কিন্তু এখন আমাদের ৪ লাখ বাঙালি কাজ করে।’
সৌদি জোটের অবরোধের কারণে প্রথমদিকে প্রবাসীরা নানা শঙ্কায় থাকলেও পরে বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশি লাভবান হয়েছে বলে মনে করেন কাতার চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি সফিকুল ইসলাম তালুকদার বাবু।
সন্ত্রাসবাদ সমর্থন ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে কাতারের সঙ্গে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব অমিরাত, মিসর, বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। দফায় দফায় আলোচনা হলেও গত তিন বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।