জুমবাংলা ডেস্ক : উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত সরবরাহ করলে আগামীকাল শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে ৪৮ টাকায় হালি ও ১৫০ টাকায় এক ডজন ডিম বিক্রি করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মতিঝিলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) ভবনে ডিম, ব্রয়লার মুরগি, আলু ও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বিষয়টি জানিয়েছেন তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ।
আমান উল্লাহ জানান, তেজগাঁও আড়তে দৈনিক ডিমের চাহিদা ২০-২৫ লাখ পিস। বিপরীতে করপোরেট কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ১০ লাখ ডিম। বাড়তি ডিম বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
তবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যাপ্ত সরবরাহ করলে শুক্রবার সকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে ৪৮ টাকা হালি ডিম বিক্রি করা সম্ভব হবে। আর প্রতি ডজন ডিম বিক্রি করা যাবে ১৫০ টাকায়। সে অনুযায়ীই পাইকারি পর্যায়ে দাম রাখা হবে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, পাইকারদের পাশাপাশি কাজী ফার্মস ও সিপি বাংলাদেশকে দেশের আনাচে-কানাচে অবস্থিত তাদের রিটেইলগুলোতে ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্যে ডিম বিক্রি শুরু করতে হবে। এতে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়বে, দামও কমবে। ভোক্তা স্বস্তি পাবে।
এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক জালাল উদ্দীন জানান, আমন্ত্রণ জানানো স্বত্বেও ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত নেই। তার মানে ডিম উৎপাদকদের মধ্যে ঝামেলা আছে। এদের না ধরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা শুধু খুচরা পর্যায়ে অভিযান চালায়। ফলে বাজার অস্থিরই থেকে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।