জুমবাংলা ডেস্ক : ক্রেতা সেজে র্যাব আট ও পূর্ব সুন্রবন বিভাগ সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা রায়েন্দা বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ মো. গাউস ফকির নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে। বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বন বিভাগ ও র্যাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্রেতা সেজে এই চক্রের মূল হোতা গাউসকে চামড়াসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী হত্যা মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছে বন বিভাগ। এদিন দুপুরে তাকে বন আদালতে নেয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বন বিভাগ ধারনা করছে কয়েক মাস আগে এই বাঘাটিকে শিকার করা হয়েছে।
র্যাব ও বন বিভাগের পক্ষথেকে আরো জানানো হয়, গত শনিবার থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন বিভাগ র্যাব আটের সহযোগীতায় যৌথ ভাবে ক্রেতা সেজে সতেরো লাখ টাকা দরদাম করে তের লাখ টাকায় দফা রফার পর মঙ্গলবার বিকালে টাকা নিয়ে যৌথ অভিযানে যায় র্যাব ও বন বিভাগ। পূর্বের কথা মতো শরণখোলা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন তেলের পাম্পের কাছে জলিলের ব্রিজের নিচে থেকে রাত সাড়ে সাতটার সময় বাঘের চামড়াসহ শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মৃত রশিদ ফকিরের ছেলে চোরা শিকারি মো. গাউস ফকিরকে আটক করে র্যাব। জব্ধকৃত বাঘের চামড়াটি আট ফুট এক ইি লম্বা ও তিন ফুট এক ইি চওড়া।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, বন্যপ্রানী আইন ২০১২তে কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের জেল ও ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।