
জুমবাংলা ডেস্ক: বাস চলছে না, ছাড়ছে না ট্রেন কিংবা লঞ্চও৷ গণপরিবহন বন্ধ, তবুও অনেক মানুষ ঢাকা থেকে ছুটছেন বাড়িতে৷ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন কিংবা প্রয়োজনের তাগিদে নানা উপায়ে তারা শহর ছাড়ছেন৷ খবর ডয়চে ভেলের।
এই সময়টায় ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে কোলাহলমুখর থাকার কথা৷ সেখানে এখন যাত্রীদের ব্যস্ততা নেই৷ অলস পড়ে আছে শুধু ট্রেনগুলো৷
এখন হয়তো সদরঘাটে পা রাখাটাই দায় হত যদি সময়টা ভিন্ন হত৷ অথচ ঈদের একদিন আগেও সেখানে মানুষের ছুটোছুটি নেই, ঘাট ছাড়ার জন্য লঞ্চের তাড়া নেই৷
ঈদের সময় মহাসড়কে জ্যামের কারণে টার্মিনালগুলোতে বাস সংকট আর যাত্রীদের অপেক্ষার দৃশ্যই চিরচেনা৷ কিন্তু গাবতলীতে এখন হাজারো বাস থাকলেও যাত্রীরা অপেক্ষায় নেই৷ ঢাকায় দূরপাল্লার বাসের টিকেট কাউন্টারগুলো ঈদের আগে এমন ফাঁকা কি কল্পনা করা যায়! বাস যেহেতু ছাড়ছে না, তাই টিকেট ঘর খোলার প্রশ্নও আসছে না৷
গণপরিবহন না থাকলেও অনেকে ঘর থেকে বেরিয়েছেন ঢাকা ছাড়ার পথগুলোর উদ্দেশ্যে৷ সেখান থেকে যদি কোনো বাহন মিলে৷ গাবতলীতে অনেকে গেলেও কোন বাহন মিলেনি৷ পায়ে হেঁটেই তাই যাত্রা শুরু করতে দেখা গেছে অনেককেই।
রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা নেই৷ কাজেই রোগীর বাহনটিও অনেকের জন্য এখন বাড়ি ফেরার অবলম্বন৷
গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত যানে ঢাকা ছাড়তে কোন বাধা নেই৷ এমন সিদ্ধান্তের পরে রাস্তায় কার, মাইক্রোবাসের সংখ্যা বেড়েছে৷ কিন্তু প্রাইভেট কারে শুধু মালিকরা যাচ্ছেন না৷ অনেক রেন্ট এ কার বা ভাড়ায় খাটা প্রাইভেট কার এই সুযোগে নেমে পড়েছে যাত্রী পরিবহনে৷
মাইক্রোবাস বা কারে গাবতলী থেকে যাওয়া যাচ্ছে পাটুরিয়া ঘাটে৷ তবে গুণতে গুণতে জনপ্রতি ৫০০ টাকা৷ প্রাইভেট কার না হলে মোটরসাইকেলও আছে৷ রাইড শেয়ারিংয়ে চালানো বাইকাররা স্বল্প দূরত্বে যাত্রীদের পৌঁছে দিচ্ছে৷
মাওয়া ফেরিঘাটে লোকে লোকারণ্য। যারা কষ্ট করে পৌঁছাতে পেরেছেন মাওয়া ফেরিঘাটে হাজারো মানুষের ভিড়ে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোন তাড়না বা উপায় নেই৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।