আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনায় লকডাউন পুরো দেশ। এই অবস্থায় গরিবদের বাঁচাতে এগিয়ে এল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আগামী তিন মাস ধরে ভারতে প্রতিটি গরিব পরিবার বিনা পয়সায় পাঁচ কেজি করে চাল ও এক কেজি ডাল পাবে। করোনায় লকডাউনের সময়ে গরিবরা যাতে অভুক্ত না থাকেন সে জন্য এই সময়োচিত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। খবর ডয়চে ভেলের।
খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে তারা আগের মতোই ২ টাকা কেজি দরে গম ও ৩ টাকা কেজি দরে চাল পাবেন। তার অতিরিক্ত বিনা পয়সায় এই চাল-গম দেবে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার মোট ৮০ কোটি গরিবকে সাহায্য করতে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্রকল্পেরকথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
Pradhan Mantri Gareeb Kalyan Ann Yojna(for next 3 months):80 cr poor ppl covered(2/3rd of India’s population), in addition to already allotted 5Kg of rice/wheat per person,an additional 5kg will be free. Additional 1kg pulse (acc to regional preference) will be given,announces FM https://t.co/9XSxG62qk6 pic.twitter.com/9pESnxKpum
— ANI (@ANI) March 26, 2020
শুধু প্রতিটি গরিব পরিবারকে বিনা পয়সায় চাল-ডাল দেওয়াই নয়, সরকার একেবারে গরিব মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা তাঁদের জনধন অ্যাকাউন্টে দেবে। এর ফলে ২০ কোটি ৫০ লাখ মহিলা উপকৃত হবেন। এই টাকাও তিনমাস দেওয়া হবে। তাছাড়া ৩ কোটি গরিব বিধবা, বিকলাঙ্গ ও প্রবীণ নাগরিককে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এপ্রিলের গোড়াতেই দেশের ৮ কোটি ৬৯ লাখ কৃষককে ২ হাজার টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। দরিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলিকে আগামী তিন মাস গ্যাসের সিলিন্ডারও বিনা পয়সায় দেওয়া হবে। এ ছাড়া ৫০ লাখ নার্স, প্যারা মেডিকেল কর্মী, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসককে বিশেষ স্বাস্থ্যবিমার আওতায় নিয়ে আসা হবে। গ্রামে একশ দিনের কাজ বা নারেগায় ন্যূনতম মজুরির পরিমাণও ১৮২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০২ টাকা করা হয়েছে।
20 crore Jan Dhan Women account holders covered- Ex gratia amount of Rs 500 per month for the next three months, announces FM Sitharaman https://t.co/R6WaPyuvV5
— ANI (@ANI) March 26, 2020
করোনা ঠেকাতে আচমকাই দেশে লকডাউনের ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অবস্থায় সব চেয়ে বিপাকে পড়েছেন দেশের গরিব মানষ। তাঁরা অধিকাংশই দিনমজুরের কাজ করেন। দিন আনি দিন খাই অবস্থা। লকডাউনের ফলে তাঁরা অন্তত আগামী ১৫ এপ্রল পর্যন্ত কোনও কাজ পাবেন না। তারপরে অবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হলেই আবার কাজে ফিরতে পারবেন। ফলে সময় লাগবে। এই অবস্থায় অনেক শ্রমিকই দেখা দিল্লি থেকে পায়ে হেঁটে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা বা অন্য রাজ্যে নিজেদের বাড়িতে ফিরছেন। বাড়ি ফিরতে তাঁদের এক থেকে তিন দিন লেগে যাচ্ছে। প্রায় অভুক্ত অবস্থায় তাঁদের চলতে হচ্ছে। বাড়ি ফিরেও তো অভুক্ত থাকতে হতে পারে। তাছাড়া দিল্লির বস্তি এলাকাতেও গরিবরা বিপাকে পড়েছেন। তাই তাঁদের সকলের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
যাঁরা সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন, অথচ, খুব বেশি বেতন পান না, তাঁদের জন্যও সরকার কিছুটা সুবিধা দিচ্ছে। যে সব জায়গায় মোট কর্মীর সংখ্যা একশর বেশি নয় এবং কর্মীদের গড় বেতন ১৫ হাজার টাকা, সেখানে পরের তিন মাস সরকারই তাঁদের পিএফের টাকা দিয়ে দেবে। তাছাড়া তারা পিএফ থেকে ৭৫ শতাংশ বা তিন মাসের সমান বেতনের টাকা তুলতে পারবেন।
সীতারামন দাবি করেছেন, করোনায় লকডাউনের বাজারে কাউকে অভুক্ত থাকতে দেবে না সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।