জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস নিয়ে ছড়ানো ভুল তথ্যের গুজবে কান দিয়ে বিশ্বজুড়ে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
আর এজন্য দায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এখান থেকে পাওয়া ভুল তথ্যের কারণে প্রায় ৫৮০০ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৮০০ জন।
সম্প্রতি ‘আমেরিকান জার্নাল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন’র এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে বুধবার জানিয়েছে বিবিসি।
ভাইরাস ছড়ানোর থেকেও দ্রুত ছড়িয়ে পরে করোনা নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও এ থেকে বাঁচার নানা ভুল পদ্ধতি।
গবেষণার ফলাফল থেকে জানা গেছে, হাসপাতালে এমন হাজারও রোগীর চিকিৎসা করতে হয়েছে, যাদের বড় একটি অংশ সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া গুজবে বিশ্বাস করেছিলেন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড এবং জাপানসহ বিভিন্ন দেশের সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন আন্তর্জাতিক একদল বিজ্ঞানী।
এখানে উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ভারতে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেতে গোমূত্র বা সার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে পরায় ভারতে দাঙ্গাও হয়েছে। সৌদি আরবে উটের প্রস্রাবকে ম্যাজিক ওষুধ হিসেবে বলা হয়েছিল।
এমনকি শরীরকে জীবাণুমুক্ত করতে অত্যন্ত ঘনীভূত অ্যালকোহল ব্যবহার করার কথাও চাউর হয়েছিল। ইরানে মদ খেলে করোনা প্রতিরোধ করা যাবে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। এ গুজবে কান দিয়ে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত মদ খাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হন।
তাদের অনেকে মারা গেছেন। ভুল তথ্য বিশ্বাস করে বিশ্বব্যাপী অন্তত ৮০০ মানুষ মারা গেছে।
প্রায় ছয় হাজার মানুষকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে করোনা আতঙ্কে মিথানল পান করে। অন্ধ হয়ে গেছেন ৬০ জন।
বিজ্ঞানীরা ৮৭টি দেশের ২৫টি ভাষার মোট দুই হাজার ৩০০ রিপোর্ট নিয়ে গবেষণাটি করেছেন। গবেষক দল ইন্টারনেটে করোনাবিষয়ক ভুল তথ্যগুলো মনিটর করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে দাবি জানান।
সঠিক তথ্য প্রকাশের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোর সঙ্গেও কাজ করার কথা বলেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।