জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের কয়েকটি উপজেলায় কুয়েতের একটি সংস্থার নাম করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মূলহোতাসহ জামাই ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ মে) তাদের টাঙ্গাইল কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার মূলহোতা সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের গোলাম মোহাম্মদের ছেলে মাহবুবুল হক (৪৩), তার সহযোগী বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে আব্দুর রউফ (৫৬) ও তার মেয়ের জামাই ভূঞাপুর পৌরসভার ফসলান্দি গ্রামের আক্তারুজ্জামান সিদ্দিকীর ছেলে নাজিম সিদ্দিকী (৩৭)।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মূলহোতা মাহবুবুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে থানা পুলিশ তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তার মাহবুবুল হক তার সহযোগী রউফ ও তার মেয়ের জামাই নাজিম সিদ্দিকীর কথা বলেন।
এর আগে গত বুধবার (১৭ মে) উপজেলার ছাব্বিশা গ্রামের মাসউদ আলী খান বাদী হয়ে মাহবুবুল হককে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, বিদেশি সংস্থা কুয়েত জয়েন রিলিফ সোসাইটির (কেজিআরসি) নামে একতলা ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একতলা ভবনের জন্য মাহবুবুল হক ও তার সহযোগীরা মানুষজনের কাছ থেকে চার-পাঁচ লাখ টাকা করে নেন। এসময় মানুষজনকে বিশ্বাস করানোর জন্য বেশ কয়েকটি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যান কেজিআরসির মাহবুবুল হক, আ. রউফ ও তার মেয়ের জামাই। পরে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুরাহা না পাওয়ায় ভুক্তভোগী মাসউদ আলী খান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় মাসউদসহ উপজেলার বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা তিন কোটি ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, মামলার মূল আসামির সাথে এজেন্ট হিসেবে কাজ করতো জামাই ও শ্বশুর। রিমান্ডে মাহবুবুল হক ওই দুই এজেন্টের কথা বলার পরই বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি আরো বলেন, তারা কুয়েতের একটি সংস্থার কথা বলে মানুষজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভবন করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে অনেক মানুষজন তাদের কথায় টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।