স্পোর্টস ডেস্ক: ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোকের নগরী নেপলসও। নাপোলির ৯৪ বছরের ফুটবল ইতিহাসে কেবল দুটো স্কুদেত্তো জেতার সুযোগ হয়েছে। আর এই দুটোই ঘরে উঠেছিল ম্যারাডোনার জাদুতে। নেপলসের ক্লাবে উৎসবের রং ছড়িয়ে দেওয়া ফুটবল ঈশ্বর তাদের হৃদয়ের এতটাই গহীনে আছেন যে, তার গায়ে জড়ানো ১০ নম্বর জার্সিটা অবসরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পৃথিবী ছেড়ে গেলেও নাপোলি সমর্থকদের হৃদয়ে তিনি থেকে যাবেন আজীবন। নেপলস ছাড়ার পরও যেমন মৃত্যুর আগপর্যন্ত ছিলেন। ফুটবল ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চটাও নাপোলি ভক্তরা পেয়ে গেলেন বৃহস্পতিবার রাতে। ম্যারাডোনা মারা যাওয়ার পর ইতালিয়ান ক্লাবটি প্রথমবার মাঠে নেমেছিল ইউরোপা লিগ ম্যাচ দিয়ে। ঘরের মাঠ স্তাদিও সান পাওলোতে রিয়েকার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় দিয়ে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে স্মরণ করেছে নাপোলি।
ম্যাচ শুরুর আগেই হাজারও ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন সান পাওলোর বাইরে। খেলা শুরুর আগে নাপোলির সব খেলোয়াড় ম্যারাডোনার নাম লেখা ‘১০ নম্বর’ জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন এবং ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করে সম্মান জানানো হয় বুধবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ওপারের চলে যাওয়া ম্যারাডোনাকে।
বাইরে তখন নাপোলি ভক্তের ঢল। ফুল নিয়ে, ব্যানার হাতে ও পতাকা উড়িয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে ‘ডিয়েগো ডিয়েগো’ চিৎকারে মুখোরিত হয়ে ওঠে। তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য এসেছিল যার হাত ধরে, তার চিরবিদায়ে জল ঝরেছে অনেকের চোখেই।
নাপোলিতে ৭ বছর কাটিয়েছেন ম্যারাডোনা। নেপলসের এই ক্লাবটির কাছে ম্যারাডোনাই শেষ কথা। তার মৃত্যুর পর নাপোলির স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে যাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। সান পাওলো স্টেডিয়াম হতে যাচ্ছে ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা স্টেডিয়াম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।