জুমবাংলা ডেস্ক : ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইয়াবাসহ জিনের বাদশাহর আস্তানা থেকে আটকের পর উপজেলা যুবলীগের সম্পাদক মো. ইসমাইল খানকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে তাকে বহিষ্কার করা হয় বলে জানা গেছে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির ও সম্পাদক মো. আতিকুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মো. ইসমাইল খানকে বহিষ্কার করা হয়।
গত ৮ জানুয়ারি রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া কুঞ্জেরহাট এলাকায় জিনের বাদশা মোকাম্মেলের আস্তানা থেকে উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক মো. ইসমাইল খানসহ ৯ বাদশাকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ওই আস্তানা থেকে ৩১৫ পিচ ইয়াবা ও দেড় কেজি পরিমাণ গাঁজা ও ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান, বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক, এসআই মুহাইমিনুল, এসআই হেমায়েত উদ্দিনসহ পুলিশের একটি টিম ওই আস্তানায় অভিযান চালায়। পরের দিন দুপুরে আটককৃতদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান। ওই থেকে ইসমাইলসহ ৯ জন জেলাহাজতে রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে এ আস্তানায় বসেই জিনের বাদশা সেজে দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে প্রাথমিক তথ্য নেয়া হয়। পরে ইমো বা ভিডিও কলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে প্রতারণায় ফেলে রোগমুক্তি, আদালতের মামলার রায় পক্ষে আনা, সংসারে শান্তি আনা, ব্যবসায় লাভবান হওয়া, প্রেমিক-প্রেমিকার মন পাওয়া, নিঃসন্তান রমণীর সন্তানলাভ করাসহ নানা বিষয়ে প্রলুব্ধ করে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ওই চক্রের এজেন্ট।
অভিযোগ রয়েছে, একটি বেসরকারি হাইস্কুলের সামান্য বেতনের অফিস সহকারী মোকাম্মেল রাতারাতি লাখপতি হয়ে যান। ওই এলাকায় মোকাম্মেলই বর্তমানের জিনের বাদশাদের গডফাদার। ওই আস্তানায় নিজের আসন পাতেন ইসমাইল খান। গড়ে তোলেন ইয়াবা ব্যবসার সেন্টার।
মূলত: মোকাম্মেল ও ইসমাইলের নেতৃত্বেই চলছে জিনের ব্যবসা ও ইয়াবার চালান আনা ও প্রচার করা। এমন প্রমাণ রয়েছে পুলিশের কাছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।