জুমবাংলা ডেস্ক : করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ রোগে রোববার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগী ছিল রাজধানী ঢাকায়। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে কোনো আক্রান্ত নেই।
করোনাভাইরাস নিয়ে সোমবার অনলাইনে ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১২ জন নারায়ণগঞ্জের, তারপরের অবস্থানে আছে মাদারীপুর এবং ঢাকা জেলার উপজেলাগুলোতে চারজন আক্রান্ত আছেন।
তিনি জানান, নতুন করে আজ ৩৫ জন শনাক্ত ও তিনজন মারা গেছেন। সারা দেশ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৬৮টি। আর এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১২ জন, আক্রান্ত ১২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার খবর নেই। আক্রান্তদের ৬৪ জন ঢাকার, নারায়ণগঞ্জের ২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যতজন আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১২ জন নারায়ণগঞ্জের, তারপরে আছে মাদারীপুর এবং ঢাকা জেলার উপজেলাগুলোতে চারজন আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মৃত তিনজনের একজন এক সপ্তাহ আগে শনাক্ত হন। বাকি দুজন হাসপাতালে আসার পরপরই মারা গেছেন। তারা দুজন নারায়ণগঞ্জের আক্রান্তদের ৩৫ জনের বয়স ছিল ৪১ থেকে ৫০ বছর, তাদের মধ্যে ৩০ জনই পুরুষ। এর বাইরে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২১ জন আক্রান্ত হন।
এর আগে পরীক্ষার পরিধি বাড়ানোর পর রোববার বাংলাদেশে একদিনেই নতুন করে ১৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সোমবার সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৫-এ। গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর এটিই একদিনে আক্রান্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
রোববার আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে ঢাকার ১২ জন, নারায়ণগঞ্জের একজন ও মাদারীপুরের একজন রয়েছেন। রাজধানীর বাসাবো এলাকার নয়জন, টোলারবাগের ছয়জন এবং মিরপুরের অন্যান্য এলাকার পাঁচজন রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।