Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    আন্তর্জাতিক স্লাইডার

    দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রাপ্তে গাজা : ঘোড়ার মাংস, এঁটো খাবারে ক্ষুধা নিবারণ

    Soumo SakibFebruary 25, 20243 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক : গাজায় চলমান যুদ্ধ প্রায় পাঁচ মাসে গড়াতে চলেছে। এরই মধ্যে খাবার, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ কয়েক মাস ধরেই এলাকাটিতে দুর্ভিক্ষের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে। বিভিন্ন শরণার্থীশিবিরে খাবারের অভাবে ধুঁকছে লাখো মানুষ।

    গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে পরিবারের জন্য খাবার জোটাতে মরিয়া আবু জিব্রিল নিজের দুই ঘোড়া জবাই করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের ঘোড়া জবাই করে খাওয়ানো ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই। আমরা ক্ষুধায় মরে যাচ্ছি।’

    জাবালিয়ায় ফিলিস্তিন অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শরণার্থীশিবির। গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ শিবিরে অন্তত ১ হাজার ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল।

    সংঘাত শুরুর পর ৬০ বছর বয়সী জিব্রিল পার্শ্ববর্তী বেইত হানুন এলাকা থেকে পালিয়ে এ শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের এক স্কুলের পাশে একটি ছোট তাঁবুই এখন তাঁদের ঘরবাড়ি। দূষিত পানি, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এবং মানুষের ভিড়ের মধ্যে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করছেন এ শিবিরের শরণার্থীরা। ১৯৪৮ সালে মাত্র ১ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার জায়গাজুড়ে এ ক্যাম্পটি স্থাপন করা হয়। এখানকার ১ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে এখন চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হচ্ছে।

    ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা বর্ষণের কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এ অঞ্চলটিতে পৌঁছাতে পারছে না। ফলে দ্রুত ফুরিয়ে আসছে খাবার। যে কয়টি খাবারের গাড়ি পৌঁছাতে পারছে ক্ষুধার্ত শরণার্থীরা সেই গাড়ির ওপরই হামলে পড়ছে।

    চলতি সপ্তাহেই বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানায়, গাজায় অভূতপূর্ব মাত্রার দুর্দশা দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, অঞ্চলটিতে প্রায় ২২ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

    গত শুক্রবার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজায় জাবালিয়া শিবির থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে এক হাসপাতালে অপুষ্টির কারণে দুই মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    গতকাল শনিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২৯ হাজার ৬০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    শিবিরে ক্ষুধার্ত শিশুরা সামান্য খাবারের জন্য প্লাস্টিকের পাত্র এবং ভাঙা হাঁড়ি হাতে অধীর হয়ে অপেক্ষায় থাকে। খাবারের সরবরাহ যেমন কমে আসছে, তেমন এর দামও দিনদিন বাড়ছে। একজন অভিযোগ করে বলেন, এক কেজি চাল যা আগে ছিল সাত শেকেল এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫৫ শেকেল।

    ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বড়রা মানিয়ে নিতে পারলেও এই চার–পাঁচ বছরের শিশুরা কীভাবে পারবে? তারা কী এমন ভুল করেছে যে তাদের ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যেতে হচ্ছে, ক্ষুধা নিয়েই জাগতে হচ্ছে!’

    জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, উদ্বেগজনক হারে খাবারের সংকট, ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি ও রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে গাজায় শিশু মৃত্যু বাড়তে পারে।

    গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় দুই বছরের কম বয়সী প্রতি শিশুর মধ্যে একটি তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ পচা ভুট্টা, মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী পশুখাদ্য, এমনকি লতাপাতাও খাওয়া শুরু করেছে!

    শরণার্থীশিবিরের এক নারী বলেন, ‘এখানে কোনো খাবার নেই, গম নেই, কোনো খাবার পানি নেই। আমরা প্রতিবেশীদের কাছে ভিক্ষা করা শুরু করেছি। আমাদের ঘরে একটা শেকেলও নেই। আমরা দরজায় কড়া নাড়ছি কিন্তু কেউ আমাদের অর্থ দিচ্ছে না।’

    খাবারের অভাবে জাবালিয়া শিবিরে ক্ষোভ তীব্রতর হচ্ছে। গত শুক্রবার কয়েকজন তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভে এক শিশুর হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘বোমা হামলায় আমাদের মৃত্যু হয়নি, আমরা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছি।’

    আরেক প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ক্ষুধা আমাদের মাংস খুবলে খাচ্ছে।’ ‘ক্ষুধাকে না বলুন, গণহত্যাকে না বলুন, অবরোধকে না বলুন’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শিবির।

    বেইত হানুনে দুটি ঘোড়া দিয়ে জমি চাষের কাজ করতেন জিব্রিল। সংঘাতে তাঁর বাড়িঘরের সঙ্গে ফসলও ধ্বংস হয়ে গেছে। জিব্রিলের মতোই এখানে নিঃস্ব হয়ে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

    ইসরায়েলের অবিরত বোমা হামলায় গাজায় এখন কংক্রিটের স্তূপ আর কয়েকটি ধুঁকতে থাকা প্রাণ ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই।

    নিজের ঘোড়া জবাইয়ের কথা গোপন রেখেছেন জিব্রিল। ঘোড়ার মাংসের সঙ্গে চাল সেদ্ধ করে ক্ষুধার্ত পরিবার ও প্রতিবেশীকে আরও এক বেলা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। ‘কেউই জানে না তাঁদের ক্ষুধা নিবৃত্তির মাংসটি আসলে ঘোড়া।’ সাংবাদিকের কানে কানে বলেন জিব্রিল।

    জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কঙ্গোগামী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের ব্রিফিং

    আন্তর্জাতিক এঁটো ক্ষুধা খাবারে গাজা, ঘোড়ার দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রাপ্তে নিবারণ প্রভা মাংস স্লাইডার
    Related Posts
    oil

    বিশ্ববাজারে আবারও কমেছে তেলের দাম

    July 3, 2025
    gaza

    ৪৮ ঘণ্টায় তিন শতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল

    July 3, 2025

    বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

    July 3, 2025
    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.