জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেট নগরীর পুকুর ও জলাশয় গুলো দখল ও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে অদূর ভবিষ্যতে সিলেট নগরী পরিবেশগতভাবে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। এমন পরিস্থিতিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মালিকাধীন ধোপাদিঘীর পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সিটি কর্পোরেশন। আর ভারত সরকার এতে অর্থায়ন করছে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
একসময় এই দিঘী ধোপাদের কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো। তবে যুগের সাথে বদলে যায় দিঘীর পরিবেশ। নামটা ‘ধোপাদিঘী’ থেকে গেলেও বাকি সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চলে যায় প্রভাবশালীদের দখলে। সম্প্রতি সিলেট সিটি কর্পোরেশন ধোপাদিঘী পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার কাজে হাত দেয়। ভারত সরকারের অনুদানে এখানে গড়ে তোলা হচ্ছে পার্ক।
পাঠকদের জন্য প্রস্তাবিত সিলেট ধোপাদীঘির নান্দনিক সৌন্দর্য্যে রূপ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরা হল।
*আকার ৩.৪১ একর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে উন্নীত হবে ৩.৭৫ একরে
* নির্মিত হবে ওয়াকওয়ে
* পুকুরের পানি হবে পরিষ্কার
* পুকুরের মধ্যখানে নৌকার আদলে থাকবে রেস্তোরা
* সকাল থেকে সন্ধ্যা হাঁটাচলার জন্য থাকবে উন্মুক্ত
* থাকবে বেঞ্চ, প্যাডেল বোট, শিশুদের রাইডের জায়গা
ভারতীয় সরকারের অনুদানে বাস্তবায়িত এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ২১ কোটি ৮৫ লক্ষ ৬০ হাজার ৫শ টাকা। প্রকল্পের আওতায় বর্তমানে দীঘির খননকাজ শুর হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দীঘির চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে, বসার জন্য থাকবে বেঞ্চ, শিশুদের জন্য রাইডের জায়গা থাকবে, পুকুরে নামার জন্য থাকবে দুটি দৃষ্টিনন্দন ঘাট, পুকুরের নোংরা পানিকে পরিষ্কার করা হবে এবং সেই সাথে পুকুরের মধ্যে ঘোরার জন্য থাকবে প্যাডেল বোট, বৃক্ষপ্রেমীদের পরামর্শে সুদৃশ্যভাবে লাগানো হবে সবুজ বৃক্ষ, পুকুরের মধ্যখানে থাকবে নৌকার আদলে ভাসমান রেস্তোরা।
এখানে থাকবে একাধিক টয়লেট।
এসব টয়লেট ও বর্জ্যের ব্যবস্থাপনার জন্য থাকবে আলাদা পাইপলাইন, যা পুকুরের পানির সাথে সংযোগ থাকবে না। সবার জন্য উন্মুক্ত এই জায়গাটির প্রবেশপথ থাকবে সিটি কর্পোরেশনের মসজিদের উত্তর-পাশ দিয়ে এবং মহানগরবাসী সকাল-বিকেল ও সন্ধ্যায় যাতে এখানে এসে হাঁটতে পারেন সেজন্য রাতের বেলা আলোকিতকরণসহ সংশ্লিষ্ট সকল সুবিধা রাখা হবে। সূত্র : সময় সংবাদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।