জুমবাংলা ডেস্ক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফান খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে ১৯ মে শেষ রাত হতে ২০ মে বিকাল বা সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।’
তিনি আজ ঢাকায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অনলাইন ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। এসময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটার -এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার বা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে । ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে । মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং উপকূলীয় জেলা সমূহ ও এর অন্তর্ভুক্ত দ্বীপসমূহ ৭ নং বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা জেলার লোকজনকে ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা শুরু হয়েছে। আগামীকাল সকাল থেকে অন্যান্য জেলার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম শুরু হবে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানকালে যাতে খাবারের অভাব না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্যের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে। দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ না থাকলে তার বিকল্প ব্যবস্থা করে রাখার জন্য জেলা প্রশাসন সমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডা. এনাম সাংবাদিকদের জানান, ‘ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ১২ হাজার ৭৮ টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে । উপকূলীয়সহ মোট ১৯ টি জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম,-কক্সবাজার, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ এবং শরীয়তপুর জেলার জন্য ৩১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৫০ লক্ষ নগদ টাকা,, শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৩১ লক্ষ টাকা, গো খাদ্য জন্য ২৮ লক্ষ টাকা এবং শুকনো ও অন্যান্য খাবারের ৪২ হাজার প্যাকেট ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে । এটি আজ বিকাল তিনটায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১০৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এর পূর্বে প্রতিমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমুহের সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং উপকূলীয় জেলা সমূহের জেলা প্রশাসকদের সাথে অনলাইনে সভা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।