Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home পেনশনের নতুন সিদ্ধান্ত ও শিক্ষকদের অসন্তোষ
মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার

পেনশনের নতুন সিদ্ধান্ত ও শিক্ষকদের অসন্তোষ

Soumo SakibJune 4, 20245 Mins Read
Advertisement

মাছুম বিল্লাহ : স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থায় আগামী জুলাই থেকে যোগ দেওয়া চাকুরেদের সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তাঁরা বিদ্যমান পেনশনের বদলে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতেই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

সার্বিকভাবে বৃহত্তর স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা থেকে সরে আসবেন বলে তিনি আশা করেন।
নতুন এই সিদ্ধান্তে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষুব্ধ হলেও চাকরির ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রয়েছেন সরব। তাঁরা বলছেন, এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হবেন।

একই বেতন স্কেলের অধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য সরকারের ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য তাঁরা আন্দোলনে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমিতিগুলো এরই মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষকদের সম্মান করতেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে গেছেন। সেই শিক্ষকদের প্রদেয় সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে আর তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে, এটিই আমাদের জন্য লজ্জার। ৩০ জুনের পর আমাদের যে নতুন সহকর্মীরা আসবেন, তাঁরা জানবেন তাঁরা কোনো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। তাহলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় কেন আসবেন?’ ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা আমাদের জন্য কিছু করছি না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষার জন্য, মেধাবীদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় ধরে রাখার জন্য কাজ করছি।’

তিনি বলেন, যে ভয়াবহ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। মেধাবীরা এই পেশায় আসবে না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহেদ রানা বলেন, হঠাৎ করে এমন প্রজ্ঞাপনের ফলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তুষ্টি দেখা দিয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখন সম্পূর্ণ স্থিতিশীল। পেনশন বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্থিতিশীল করে তোলার পাঁয়তারা বলে মনে হচ্ছে। বিদ্যমান সরকারি পেনশন ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশনের আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও।

তিনি বলেছেন, ‘এর ফলে ভালো কিছু হবে না।’ হঠাৎ করেই এমন একটি বিজ্ঞাপন জারির ফলে সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হবেন বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় পেনশন বিষয়ে দুটি বিজ্ঞাপন জারি করে। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১ জুলাই থেকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকার পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করল। একই দিন সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা সংশোধন করে আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর ১ জুলাইয়ের পর থেকে ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি বাধ্যতামূলক। বিদ্যমান প্রগতি, প্রবাস, সুরক্ষা ও সমতা—এই চার পেনশন কর্মসূচি ঐচ্ছিক হলেও নতুন স্কিম বাধ্যতামূলক।

প্রত্যয় স্কিমে চাঁদার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মূল বেতনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা—এই দুইয়ের মধ্যে যেটি কম, সংশ্লিষ্ট সংস্থা তা চাকরিজীবীর বেতন থেকে কেটে রাখবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংস্থা দেবে। দুই অঙ্ক একত্রে চাকরিজীবীর পেনশন আইডির বিপরীতে সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা করবে। যেদিন প্রতি মাসের বেতন দেওয়া হয়, তার পরের কর্মদিবসের মধ্যেই কাজটি করতে হবে। এই জমা অর্থের পরিমাণ ও মেয়াদের ভিত্তিতে অবসরকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী পেনশন ভোগ করবেন। সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা সংশোধন করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, তা প্রায় ৪০০ সংস্থার ওপর কার্যকর হবে।

যেসব সংস্থা ৫০ শতাংশের বেশি সরকারি অর্থায়নে চলে, সেগুলোকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। আর স্বশাসিত বা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বোঝানো হয়েছে সেগুলোকে, যারা কোনো আইনের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে কোনো কর্তৃপক্ষ, করপোরেশন, কমিশন, সংস্থা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউশন, কাউন্সিল, একাডেমি, ট্রাস্ট, বোর্ড, ফাউন্ডেশন ইত্যাদি রয়েছে। বাংলা একাডেমি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডও এই তালিকায় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ১৪ লাখের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে গত আগস্টে চালু করা হয় সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি। তখন চার শ্রেণির মানুষের জন্য চারটি স্কিম চালু করা হয়। সে সময় একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সুবিধামতো সময়ে সরকার আরো দুটি স্কিম চালু করে স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসবে। সেই ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্ত।

এই সিদ্ধান্তে আসার আগে এসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান পেনশন সুবিধা পর্যালোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন কমিশন ও করপোরেশনে সরকারি কর্মচারীদের আদলেই পেনশন দেওয়া হয়, যা এ ধরনের মোট প্রতিষ্ঠানের ২৫ শতাংশের বেশি নয়। এর বাইরে প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিলের মাধ্যমে অবসর সুবিধা দেওয়া হয়। এই তহবিলে চাকরিজীবীরা তাঁদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ জমা দেন আর সংস্থা দেয় ৮.৩৩ শতাংশ। অবসরের পর এই টাকা এবং এর বাইরে প্রতিবছর দুই মাসের মূল বেতনের সমান আনুতোষিক অর্থাৎ গ্র্যাচুইটি তাঁরা পান।

আবার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে প্রদেয় ভবিষ্যৎ তহবিলও নেই। এ ক্ষেত্রে অবসরের পর চাকরিজীবীরা শুধু গ্র্যাচুইটি পেয়ে থাকেন। তবে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের সবাইকে পেনশনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটিকে ইতিবাচক মনে হলেও মানুষের একটি ভয় থেকে যায় যে সরকারের অনেক মহতী উদ্যোগই নাগরিকদের সুবিধা দিতে পারে না অসাধু, লোভী এবং দেশপ্রেমহীন অনেক কর্মকর্তা ও পলিসি মেকারের কারণে। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে এখানে পরিবর্তন অবশ্যই আনা প্রয়োজন। সবচেয়ে ভালো হতো যদি প্রশাসনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এই স্কিমের আওতায় আনা বাধ্যতামূলক করা যেত, যেমনটি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য। আমাদের সুচতুর আমলাতন্ত্র নিজেদের এ থেকে সরিয়ে রেখেছে। অসন্তোষ সে কারণেই।

লেখক : শিক্ষা গবেষক ও সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর- ভলান্টিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ

[email protected]

ফেরত যাচ্ছে এমপিও খাতের ২৫০ কোটি টাকা

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘ও অসন্তোষ নতুন পেনশনের মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত
Related Posts

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড

December 6, 2025
রাজনীতি

‘বিএনপি আশ্বাসের রাজনীতিতে নয়, কাজ ও বাস্তবায়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে’

December 3, 2025
সালাহউদ্দিন

শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন: সালাহউদ্দিন আহমদ

December 2, 2025
Latest News

পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড

রাজনীতি

‘বিএনপি আশ্বাসের রাজনীতিতে নয়, কাজ ও বাস্তবায়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে’

সালাহউদ্দিন

শিগগিরই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন: সালাহউদ্দিন আহমদ

বুলু

সমন্বয়ের রাজনীতির ধারক খালেদা জিয়া : বরকত উল্লাহ বুলু

ক্ষমতা

‘জামায়াতের সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়া অসম্ভব ছিল আওয়ামী লীগের’

The Digital Revolution

ডিজিটাল বিপ্লব: অনলাইন সাংবাদিকতা ও গণতন্ত্রের লড়াই

ফিনল্যান্ড : সুখকর ছিল না সবচেয়ে সুখী দেশটির স্বাধীনতার ইতিহাস

এ্যানী

‘আমরা সবাই বাংলাদেশি—এটাই বিএনপির রাজনীতি’: এ্যানী

Hasina Upodastha bow

সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব নিলেন শেখ হাসিনার উপদেষ্টার স্ত্রী, আমিরাতে বিপুল সম্পদ!

রাজনীতি

‘খুনি হাসিনার পক্ষ যারা অবলম্বন করবে তাদের নির্মূল করাই আমাদের রাজনীতি’

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.