আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম খুনের ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত বা গ্রেপ্তার করা না গেলেও তদন্তকারীদের ধারণা, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ থাকতে পারে।
এ বিষয়ে তদন্তে নিয়োজিত এক কর্মকর্তা জানান, ফাহিমের হত্যাকারীর মোটিভ আর্থিক প্রকৃতির বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। কোনো বাণিজ্যিক চুক্তির ফলে এই হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে ফাহিমের এক বন্ধু জানান, আমার মনে হয় এই ঘটনায় বিদেশিরা জড়িত, তারা হয়ত এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পেশাদার খুনি ভাড়া করেছে। হতে পারে ওই খুনি এখন বিমানে রয়েছে।
হত্যাকান্ডের বিষয়ে পুলিশ বলছে, নজরদারি ক্যামেরার ফুটেছে যে ব্যক্তি ফাহিমকে অনুসরণ করেছে তার মুখ ঢাকা ছিল। সে একেবারে নিনজা পোশাক পরা ছিল। ফলে আমরা তার চেহারা দেখতে পারছি না।
অপরদিকে যুক্তরাজ্যের এক গনমাধ্যম পুলিশের বরাত দিয়ে জানায়, ওই ব্যক্তি জানত কী করছে। আমাদের মনে হয় তার লক্ষ্য ছিলো লাশের খণ্ডাংশগুলো কোথাও ফেলে দেয়া এবং আবার অ্যাপার্টমেন্টে এসে সবকিছু আগের মতো রেখে ঠিক করে রাখা। যাতে মনে হয় এখানে কিছুই ঘটেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে এসব করার আগেই চলে যেতে হয়েছে।
মার্কিন আরো একটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায়, এই হত্যাকাণ্ডটি আন্তর্জাতিক কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। নাইজেরিয়ার লাগোস স্টেট পুলিশ কমান্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ এখন কোনো তদন্ত করছে না। তবে কোনো কিছু যদি তাদের দেশকে ইঙ্গিত করে তাহলে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত তারা।
এদিকে ফাহিম সালেহ’র হত্যাকারীকে এখনো ধরতে না পারলেও তাদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। এছাড়া হত্যাকারীকে যে কোনো সময় গ্রেফতার করা হবে বলেও নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই নিউইয়র্কের নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একদিন পর জানা যায় ফাহিমের মৃতদেহকে বুকের মাঝ বরাবর কেটে খণ্ডিত করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।