করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের ঈদুল ফিতরের বোনাস না দিয়ে সেই অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দেশের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতিও একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (১১ মে) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুমন এ আহ্বান জানান।
দেশে করোনাভাইরাসের আঘাতের কথা তুলে ধরে লাইভের শুরুতেই সুমন বলেন, আজকে আমি একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়েছি। মাননীয় অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চাই। এই বছরটি হলো একশো বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহামারির বছর। এই মহামারিতে আমরা যে যার মত বাড়িতে লকডাউনে আছি। এখানে পহেলা বৈশাখের মত একটি বড় উৎসব গেছে, য আমরা বাড়ি থেকে বের হইনি।
‘এখন ঈদ আমাদের সামনে। আমরা যতটুকু জানতে পারলাম সরকারি চাকরিজীবী-কর্মকর্তাদের ঈদ বোনাস দেয়া হবে। আমি মাননীয় অর্থমন্ত্রীকে বলতে চাই, মাননীয় অর্থমন্ত্রী এই সময়ে কি ঈদ বোনাসটা না দিলে হয় না? এই সময় কি ঈদ বোনাসটা বন্ধ করলে হয় না? আসলে আমাদের তো এই বছর কোনো ধরনের উৎসব-অনুষ্ঠান হবে না। অনুষ্ঠান হওয়ার সুযোগই তো আমাদের নেই। এই সময় যদি আমাদের টাকাটা সেভ করা যায়, তাহলে শত কোটি টাকা হবে। এক্ষেত্রে শত কোটি টাকা কাট-ছাঁট করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য ব্যয় করা যায় না মাননীয় অর্থমন্ত্রী?’
সুমন বলেন, এই সময় যদি আপনি সরকারি কর্মকর্তাদের ঈদ বোনাস দেন, তাহলে বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তারা যারা বেতন ঠিক মত পাচ্ছে না, বোনাস তো প্রশ্নই আসে না। যেখানে ৯০ শতাংশ বেসরকারি চাকরিজীবী বোনাস পাচ্ছেন না। এই দুই গ্রুপের মধ্যে যে একটা বঞ্চনা তৈরি হবে, আপনি কি তা বুঝতে পারছেন মাননীয় অর্থমন্ত্রী?
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ আইনজীবী বলেন, আমি আশা করবো যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এই দিকটিতে নজর দেবেন। সরকারি কর্মকর্তারা এ বছর ঈদ বোনাস না পেলে তো আর না খেয়ে কেউ মারা যাবেন না। উনারা তো বেতন পাবেনই।
সুমন বলেন, অন্তত এই বছরের ঈদ বোনাসটা যদি আটকে দেয়া যেতো মাননীয় অর্থমন্ত্রী, তাহলে তো আমাদের অনেকগুলো লোক বেঁচে যেতো। তাহলে তো সরকারি এবং বেসরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এরকম একটা বৈষম্য তৈরি হয় না।
‘আমি আমার এই বক্তব্যের মাধ্যমে সবাইকে বলতে চাচ্ছি যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা আছেন, ত্বরিত একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এবার ঈদ বোনাস না দিলে কেউ মনে কষ্ট পাবে না।’
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে সুমন বলেন, এই বোনাসটা যদি প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা দেয়া যায়, অনেক দূর যাওয়া যাবে। পরিশেষে আবারও বলতে চাই যে, আমরা তো ভালো পারফরম্যান্স করতে পারিনি, তবে কাট-ছাঁটের মধ্য দিয়ে যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে পারি, এটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।