ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমন নিয়ে নগর জুড়ে প্রচার-প্রচারণার সোরগোল উঠেছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
নগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃত্ব ছাড়াও ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে দলের পাশাপাশি নিজেদের প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে চট্টগ্রাম নগরী ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।
আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশে বিপুল লোকসমাগম ঘটিয়ে সেখানে দলের শক্তি ও জনসমর্থনের প্রমাণ দেখাতে চান আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর চট্টগ্রাম নগরে দলীয় সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তাই দলীয় সমর্থকদের মাঝে বিরাজ করছে বাড়তি উৎসবের আমেজ।
নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের পাশাপাশি উপসড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলিতেও শোভা পাচ্ছে নেতাকর্মীদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন। এসব ফেস্টুন কখনো কখনো দখল করেছে ফুটপাত ও গুরুত্বপূর্ণ আইল্যান্ডের অংশও।
প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন প্রসঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের প্রায় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দায়-দায়িত্ব বন্টন এবং সে অনুযায়ী কার্যসম্পাদন করে যাচ্ছেন দায়িত্বশীলরা।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম মহানগর-উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে এ জনসভা। ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড থেকে দুই লাখের বেশি মানুষ সমাবেশে যোগ দেবেন। এক একটি ওয়ার্ড থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার করে মানুষ আসবে। এর বাইরে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, তাঁতী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সমর্থকরা যোগ দিবেন জনসভায়। পলোগ্রাউন্ডের বাইরে কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে লাগানো হবে মাইক।
আ জ ম নাছির আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা থেকে এবার চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য আরো নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের বার্তা আসবে। চট্টগ্রামের জনগণ তাই বিপুল আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় আছে।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, চট্টগ্রাম নগর নয় কেবল, প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভায় জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে কর্মী-সমর্থকরা যোগ দিবেন। উত্তরের ৭ উপজেলা থেকে জনসভায় যোগ দিতে বাস-ট্রাক ভাড়া করা হচ্ছে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, দক্ষিণ জেলার ৮ উপজেলা থেকে দেড় লাখ মানুষ সমাবেশে যোগদান করতে পারে। শহরের বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার, আবাসিক হোটেলে তারা রাতযাপন করবেন। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, সমাবেশে আনোয়ারা-কর্ণফুলী উপজেলার সমর্থকরা সবুজ রঙের, পটিয়ার সমর্থকরা লাল রঙের, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সমর্থকরা হলুদ রঙের, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সমর্থকরা সাদা রঙের, বাঁশখালীর সমর্থকরা নীল রঙের এবং চন্দনাইশের সমর্থকরা গোলাপি ও চকলেট রঙের গেঞ্জি পরিধান করে সমাবেশে যোগ দিবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।