নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দিল পাষণ্ড প্রেমিক। বুধবার রাতে ঘাতক প্রেমিক আল-আমীন ও তার সহযোগী সাজ্জাদকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করে নাজমা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই।
গ্রেফতারকৃত আল-আমিন হোসেন গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বরইচুটি গ্রামের মোজাম্মেল হক ও সাজ্জাদ হোসেন খোলার টেকি গ্রামের শাহজাহান মোল্লার ছেলে।
আল-আমিন ও নাজমার প্রেমের সম্পর্ক একপর্যায়ে গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। এরপর বিয়ের জন্য আল-আমিনকে চাপ দিতে থাকে নাজমা। টালবাহানা করায় আল-আমিনের বাড়িতেও অবস্থান নিয়েছিল বিয়ের দাবিতে নাজমা। এতেই নাজমার ওপর ক্ষুব্ধ হয় প্রাইভেটকারচালক আল-আমিন। পরে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে বন্ধুর সহযোগিতায় প্রাইভেটকারের ভেতর প্রেমিকা নাজমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পিবিআই গাজীপুর ইউনিটের ইনচার্জ এসপি মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, গত ৬ ডিসেম্বর সকালে কালিয়াকৈরের চাঁনপুর এলাকার একপি ডোবা থেকে এক নারীর বস্তাভর্তি লাশ উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা নিশ্চিত হন লাশটি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানার চরদোরতা গ্রামের ওমর আলী শেখের মেয়ে নাজমার। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শিপন মিয়া উরফে টিক্কা কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় গাজীপুর পিবিআই। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী মো. রফিক আহমেদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার রাতে প্রথমে নাজমার প্রেমিক আল-আমিন হোসেনকে আশুলিয়াল জিরানী বাজার ও পরে সাজ্জাদ হোসেনকে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড়র থেকে গ্রেফতার করেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন স্বীকার করেছেন, তিনি অবিবাহিত। অপরদিকে নাজমা বিবাহিত এবং তার সাড়ে তিন বছরের একটি সন্তান আছে। স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় সন্তানকে মায়ের কাছে সিরাজগঞ্জ রেখে প্রায় তিন বছর আগে কালিয়াকৈরে এসে গার্মেন্টে চাকরি নেন। এক বছর আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ে করা নিয়ে মত পার্থক্যের কারণে তিনি বন্ধুর সহযোগিতায় নাজমাকে হত্যা করেন। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, নাজমার নাকের নাকফুল ও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।