কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এক নারীসহ তিনজন ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা তিনজনই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা হলেন, ফুলবাডী সদর ইউনিয়নের প্রাণকৃষ্ণ গ্রামের শিক্ষক খোরশেদ আলমের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৭) একই ইউনিয়নের চন্দ্রখান গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে নুরজামাল (২৮) এবং নাওডাঙ্গ ইউনিয়নের বালাতাড়ি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে তারেক হাসান জয় (২০)।
সুমির স্বামী শিক্ষক খোরশেদ আলম জানান, গত ১৮ জুলাই সুমির শরীরে জ্বর অনুভুত হয়। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করানো হলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লালমনির- হাট রাফি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডাঃ এ.এস.এম শাফিউজ্জামান (শাফি) এর তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা করানো হলে তিনি শরীরে ডেঙ্গুর জীবানু সনাক্ত করেন। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে ২৬ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পরে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত শুক্রবার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
অপর দিকে তারেক হাসান জয় রাজমিস্ত্রির কাজ করা জন্য ঢাকা উত্তরায় থাকেন। সেখানে গত ২৬ জুলাই প্রচন্ড জ্বর অনুভব হলে সে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে।
পরে তার পরিবারের লোকজন জয়কে ২৮ জুলাই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র কাছে নিয়ে গেলে ডেঙ্গুজ্বর ধরা পড়ে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ওই ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে নিজ বাড়ীতে অবস্থান করে।
তার বাবা আব্দুল জলিল রবিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে তার ছেলে ডেঙ্গজ্বর বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান, ৩০ জুলাই লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে আবারও ডেঙ্গুজ্বর পরীক্ষা করলে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নিজ বাড়িতে ছেলের চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে ঢাকায় প্রচন্ড জ্বর আক্রান্ত হয়ে এসে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়ে উপজেলার চন্দ্রখানা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে নুর-জামাল মিয়ার। তিনিও নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলেন জানান তার বাবা আফজাল হোসেন রবিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।