Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ফুলুকে বলা হয়, ‘বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী’
    মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার

    ফুলুকে বলা হয়, ‘বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী’

    Saiful IslamJanuary 24, 20243 Mins Read
    Advertisement

    রূপাঞ্জন গোস্বামী : ব্রিটিশ গোয়েন্দারা বলতো ফুলু নাকি বিজ্ঞানীর ছদ্মবেশে বিপ্লবী। ফুলু নাকি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলোনের সময় বিপ্লবীদের অস্ত্র কেনার টাকা দিতো। ফুলুর দেশপ্রেম এতোই উগ্র ছিলো, যে ঢাকার একজন উচ্চপদস্থ অফিসার বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, ‘স্যার পি.সি. রায়ের মতো লোক যদি আধ-ডজন থাকতেন, এতোদিনে দেশ স্বাধীন হয়ে যেতো।’ ১৯১৯ সালে ফুলুকে ব্রিটিশরা দিয়েছিলো Companion of the Indian Empire (C.I.E.) উপাধি, সেই বছরই কলকাতার টাউন হলে রাউলাট বিলের বিরোধিতায় গর্জে উঠেছিলো ফুলু, বলেছিলো, ‘দেশের জন্য প্রয়োজন হলে বিজ্ঞানীকে টেস্ট টিউব ছেড়ে গবেষণাগারের বাইরে আসতে হবে। বিজ্ঞানের গবেষণা অপেক্ষা করতে পারে, কিন্তু স্বরাজের জন্য সংগ্রাম অপেক্ষা করতে পারে না।’ প্রেসিডেন্সি কলেজে ২৭ বছর পড়িয়েছে ফুলু। ক্লাসে ফুলু পড়াতো বাংলা ভাষায়। নীচের দিকেই ক্লাস নিতে ভালোবাসতো ফুলু, সে বলতো ‘কুমোর যেমন কাদার ডেলাকে তার পচ্ছন্দমতো আকার দিতে পারে হাইস্কুল থেকে সদ্য কলেজে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের তেমনি সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়।’ সে সবসময় চাইতো তার ছাত্রছাত্রীরা তাকে ছাপিয়ে যাক। তাই সে লিখেছিলো, ‘সর্বত্র জয় অনুসন্ধান করিবে, কিন্তু পুত্র ও শিষ্যের নিকট পরাজয় স্বীকার করিয়া সুখী হইবে।’

    ফুলুর এক মুসলিম ছাত্র ছিলেন ড. কুদরত-ই খুদা। ১৯১৫ সালে কেমিস্ট্রিতে এম.এস.সি পরীক্ষায় কুদরত-ই খুদা প্রথম শ্রেণী পাওয়ায় কয়েকজন কট্টর হিন্দু শিক্ষক ফুলুকে অনুরোধ করেছিলেন কুদরত-ই খুদাকে প্রথম শ্রেণী না দেওয়ার জন্য। কিন্তু ফুলু যে অসাম্প্রদায়িক পিতার ভাবাদর্শে দীক্ষিত। ফুলুর কাছে যে যোগ্য সে যোগ্যই। তাই ফুলু রাজি হয়নি।

    ফুলুকে একবার বিশ্বকবি লিখেওছিলেন, ‘যেসব জন্ম-সাহিত্যিক গোলমালের মধ্যে ল্যাবরেটরির মধ্যে ঢুকে পড়ে, জাত খুইয়ে বৈজ্ঞানিকের হাঁটে হারিয়ে গিয়েছেন তাদের ফের জাতে তুলবো। আমার এক একবার সন্দেহ হয় আপনিও বা সেই দলের একজন হবেন।’ আসলে বিশ্বকবি অনুভব করেছিলেন, বিলেতে পড়াশুনা করলেও এবং ইংরেজিতে চোস্ত হলেও বাংলা ভাষা ছিােল ফুলুর প্রাণ এবং ফুলুর মধ্যে লুকিয়ে ছিলো এক সাহিত্যিক। ফুলুর ৭০ তম জন্মজয়ন্তীর দিনে রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন, আবেগমথিত কণ্ঠে বিশ্বকবি বলেছিলেন, ‘আমরা দুজনে সহযাত্রী, কালের তরীতে আমরা প্রায় একঘাটে এসে পৌঁছেছি।’ সেদিন রবীন্দ্রনাথ ফুলুর হাতে তুলে দিয়েছিলেন একটি তাম্রফলক, তাতে খোদাই করা ছিলো কবির লেখা দুটি লাইন- ‘প্রেম রসায়নে ওগো সর্বজনপ্রিয়, করিলে বিশ্বের জনে আপন আত্মীয়।’ ছোটবেলা থেকেই কলা খেতে ভালোবাসতো ফুলু, সকালে টিফিন করতো দুটো কলা দিয়ে। চাঁপাকলা ফুলুর খুব প্রিয় ছিলো। সেই সময় এক পয়সায় দুটো চাঁপাকলা পাওয়া যেতো। একদিন এক ছাত্র স্যারের জন্য তিন পয়সা দিয়ে দুটো কলা নিয়ে আসায় কি রাগ ফুলুর, ছাত্রকে বলেছিলো, ‘নবাবি করতে শিখেছো, আমায় পথে বসাবে?’

    এর কিছুক্ষণ পরেই কংগ্রেস নেতা ড. প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ এসেছিলেন ফুলুর কাছে, তাঁর তিনহাজার টাকা দরকার ছিলো। যে যুগে এক পয়সায় দুটো কলা পাওয়া যেতো, সে যুগে তিন হাজার টাকার মূল্য সহজেই অনুমেয়। বিনা বাক্য ব্যয়ে তিনহাজার টাকার চেক লিখে দিয়েছিলো ফুলু। ‘বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী’ রাড়ুলীর ফুলুর নাম তখন সারা বিশ্ব জানে। সাইমন কমিশনের সদস্যরা বিজ্ঞান কলেজের কথা ও ফুলুর কথা লন্ডনে অনেক শুনেছিলো। তারা কলকাতায় এসে বিজ্ঞান কলেজ পরিদর্শনে এসেছিলো, আসল উদ্দেশ্য ছিলো ফুলুকে দেখা। এক দুপুরে তারা ফুলুর ঘরে এসে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছিলো। ‘বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানী’ মারকিউরাস নাইট্রাইটের আবিষ্কারক স্যার পি.সি.রায় গামছা পরে চেয়ারে বসে আছেন। কারণ ফুলু তার ধুতি খানা কেঁচে রোদে শুকাতে দিয়েছিলো। ঘরের এক কোণে স্টোভ জ্বলছে, নিজের খাবার নিজেই রান্না করছিলো ফুলু। একটু লজ্জা না পেয়ে ফুলু নাকি সেই অবস্থাতেই সাইমন কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন, ‘একটা সমগ্র জাতি শুধুমাত্র কেরানী বা মসীজীবী’ হয়ে টিকে থাকতে পারে না। বাঙালি জাতিকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখালেন তিনি। ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠা করলেন বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিকল ওয়ার্কস। মূলধন বলতে ছিলো, মাত্র আটশো টাকা আর পূর্ণ আত্মবিশ্বাস। তাঁর আদর্শ বাঙালি পালন করে না। আমাদের ক্ষমা করবেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়। বিনম্র প্রণাম । সূত্র : The Wall

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ফুলুকে বলা বিজ্ঞানী বিজ্ঞানীদের মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার হয়,
    Related Posts

    ভুয়া সাংবাদিকদের ছড়াছড়ি, হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকের মর্যাদা

    October 25, 2025
    তারেক

    ‘তারেক রহমান চান সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ গড়তে, তার মধ্যে কোনো হিংসা নেই’

    October 25, 2025
    গণতন্ত্র

    ‘এ দেশের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে ধানের শীষের বিকল্প নেই’

    October 25, 2025
    সর্বশেষ খবর

    ভুয়া সাংবাদিকদের ছড়াছড়ি, হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকের মর্যাদা

    তারেক

    ‘তারেক রহমান চান সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশ গড়তে, তার মধ্যে কোনো হিংসা নেই’

    গণতন্ত্র

    ‘এ দেশের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে ধানের শীষের বিকল্প নেই’

    তারেক

    ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাক্ষেত্রে বিএনপি সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেবে : তারেক রহমান

    khilkhet footover bridge

    খিলক্ষেত ফুটওভার ব্রিজে বিশ্ব-বেহায়াদের মহোৎসব ও আমাদের ভাঙা স্বপ্ন

    দ্য ডিসেন্ট

    যুগলের অপকর্ম ও গণমাধ্যমের নীতি-নৈতিকতা

    দুলু

    আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে: দুলু

    শিক্ষা ব্যবস্থা

    ‘দেশের নিম্নমানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আমরা রাজনীতিবিদরাই দায়ী’

    রুমিন

    কেউ না কেউ চাইছে, দেশকে আনস্টেবল করতে চাইছে : রুমিন ফারহানা

    রিজভী

    বেগম জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে : রিজভী

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.