জুমবাংলা ডেস্ক : পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার সিনহার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় সাতক্ষীরার এসপি এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে রিট আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে।
রিটে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের ফেসবুক পোস্টের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
রিটের বিবাদীরা হলেন- মন্ত্রিপরিষদের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রধান পরিচালক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিসহ সংশ্লিষ্টদেরকে।
১৬ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টারে ‘‘Cyberbullying now adds to her trauma’’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক এই রিট করেন।
রিটের বিষয় নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক জাগো নিউজকে বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে’।
ডেইলি স্টারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সহকর্মী স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা দেবনাথ অনলাইনে হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
শিপ্রার ছোটভাই শুভজিৎ কুমার দেবনাথ বলেন, ‘পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা ও কিছু লোক বোনের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও উস্কানিমূলক কথাবার্তা ফেসবুকে ছড়িয়ে চরিত্র হননের অপচেষ্টা চালাচ্ছে’।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান গত ১৪ আগস্ট শিপ্রার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে তার নির্দোষ হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ রকম আরও ছবি আসার ব্যাপারেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এসপি মিজানুর রহমান শেলিও অনুরূপ পোস্ট দিয়েছেন। শিপ্রার কিছু ছবি পোস্ট করে তিনি তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার যথার্থতার পক্ষে নিজের অবস্থানের কথা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন।
এই পোস্টগুলোতে যেসব মন্তব্য এসেছে তার অনেকগুলোই ছিল শিপ্রার জন্য অবমাননাকর। অধীনস্থ কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকেও সেখানে এসপির পক্ষে মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
এসব পোস্ট দিয়ে তারা শিপ্রার অপরাধ প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। এসব পোস্টে অসংখ্য লোক বাজে মন্তব্য করেছেন যার সমর্থনও তারা দিয়েছেন। তাদের এই পোস্টগুলো পুলিশের বিভিন্ন পেজসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা পরিচালিত কিছু ফেসবুক গ্রুপ যেমন: ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’, ‘স্যালুট টু বিডি পুলিশ’ এ রকম কিছু গ্রুপেও ছবিগুলো পোস্ট করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।