আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ইতোমধ্যে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সুস্থতা কামনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্ব নেতারা। বরিসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন তারা।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, আমার ও আমেরিকানদের খুবই ভালো বন্ধু বরিস জনসনের সুস্থতা কামনা করছি। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেয়ার খবরে আমরা মারাত্মক ব্যথিত। আমেরিকানরা দোয়া করছেন, যাতে তিনি সেরে ওঠেন।
প্রয়োজনে চিকিৎসা সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াশিংটন বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি জানান, আমরা কোনও সাহায্য করতে পারি কিনা, ভেবে দেখছি। বরিস জনসনের সব চিকিৎসকের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। কী ঘটতে যাচ্ছে, তা নজরে রাখছি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে টুইটে জনসনকে বন্ধু সম্বোধন করে এই কঠিন সময়ে ব্রিটিশ জনগণের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। টুইটারে তিনি লিখেন, আমার প্রিয় বন্ধু বরিস জনসন, তোমাকে ও তোমার পরিবারকে নিয়ে আমি ভাবছি এবং সবসময় প্রার্থনা করছি। দ্রুত সেরে ওঠো। জাপানের জনগণ এই কঠিন সময়ে ব্রিটিশ জনগণের সঙ্গে আছে।
ভারতীয় প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করেছেন। তিনি বলেন, একটুও চিন্তা করবেন না প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন! আশা করছি আপনাকে হাসপাতালের বাইরে দেখার এবং খুব শিগগিরই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অবস্থার অবনতি হওয়ার পর মঙ্গলবার তাকে হাসপাতালের একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ক্রমাগত করোনার উপসর্গ দেখা দেয়ার পর রবিবার দিনের শেষভাগে তাকে মধ্য লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একটানা ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে তার শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা ছিল।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তার অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছিল। আশঙ্কাজনক রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়; এমন একটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।