জুমবাংলা ডেস্ক: ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফলাফলের তালিকায় তিনজন ছেলের নাম দেখা গেছে।
করোনা মহামারির কারণে দেশে প্রথমবারের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে লটারির পদ্ধতিতে দেয়া হয়েছে ভর্তির সুযোগ। সোমবার (১১ জানুয়ারী) ছিলো ফলাফলের তারিখ। অনলাইনে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর অভিভাবকরা ফলাফল জানতে হুমড়ি খেয়ে ভীড় করছে বিভিন্ন ইন্টারনেট ভিত্তিক কম্পিউটারের দোকানে। যাদের সন্তান লটারীতে টিকেছে তারা অনেক খুশি। তবে সময়মত লটারির ফল না পেয়ে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
সোমবার রাতে ফলাফলে মধ্যে দেখা গেছে, ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফলাফলের তালিকায় তিনজন ছেলের নাম রয়েছে। নামগুলো হচ্ছে-ফায়াজ জাহাঙ্গীর ইশমাম, মো. জোবায়েরুল হাসান খান ও ফারাবী ইসলাম। তারা সবাই চুতর্থ শ্রেণিতে মর্নিং শিফটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে বলে ফলাফল শিট বলছে।
এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও শুরু হয়েছে সমালোচনা। কীভাবে ভর্তির সুযোগ পেলো চার ছেলে, সেই বিষয়ে চলছে রসিকতাও।
সাদিয়া জামান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘১৭৭ জন বোনের তিনটা মাত্র ভাই। আজ লটারি ছিলো বলেই এভাবে ভাই বোন মিলেমিশে বিদ্যাময়ী গার্লস স্কুলে পড়ার সুযোগ পেলো।’
নিজের ফেসবুকে বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার লিখেছেন, “এ বছর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়াটি লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয়ভাবে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে,কোন মানুষের স্পর্শ ছাড়াই। এখন কোন অভিভাবক যদি পাঁচটি বিদ্যালয় সিলেক্ট করতে গিয়ে কোনভাবে তার ছেলের জন্য গার্লস স্কুল কিংবা মেয়ের জন্য বয়েজ স্কুল সিলেক্ট করে থাকে ,তাহলে এখানে সফটওয়্যার বা কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কোনো কারণ আছে কি?”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।