জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালের বানারীপাড়ায় একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে র্যাব। কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আবদুর রবের স্ত্রীকে জ্বীনের ভয় দেখিয়ে তার বাড়িয়ে গিয়ে তিন স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহে কবিরাজ মো. জাকির হোসেনকে আটক করার পর এমন তথ্য জানতে পারে র্যাব-৮।
আজ রোববার র্যাব-৮-এর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাকিরকে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাব জানতে পেরেছে, প্রথমে তিনি ওই বাড়ির নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি জ্বীন হাজির ও ঝাড় ফুঁকের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করতেন বলে প্রচার করে ওই বাড়ির সবার বিশ্বস্ততা অর্জন করেন। এর সুযোগ নিয়ে বাড়িতে জ্বীন আসবে বলে রাতে দরজা খোলা রাখার কথা বলেন রবের স্ত্রীকে। এরপর ঘটনার দিন তিন ওই বাড়িতে রাতে কৌশলে প্রবেশ করে এবং একজন সহযোগীকে নিয়ে পর্যায়ক্রমে কুয়েত প্রবাসী আবদুর রবের মা, বোন জামাই ও খালাতো ভাইকে হত্যা করে।
পরবর্তীতে র্যাব-৮ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও জাকিরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের অপর আসামি জুয়েল হাওলাদারকে (৩৪) বরিশাল মহানগরীর কোতোয়ালী থানার পশ্চিম মতাশুর মুহুরী কান্দা এলাকা থেকে আটক করে।
আটক দুজনই প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এরপর জাকির হোসেন ও জুয়েল হাওলাদারের স্বীকারোক্তি মতে র্যাব-৮ ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জাকির হোসেনের ভাড়া বাড়ি সাগরদীর মুন্সি বাড়ী থেকে হত্যাকাণ্ডের পর তাদের ছিনতাই করে আনা স্বর্ণালংকার, তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি চাকু উদ্ধার করে।
আটক আসামি ও আলামত সমূহ বানারীপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, লোভের বশবর্তী হয়ে তারা এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে।
গতকাল শনিবার ভোরে বানারীপাড়ার সলিয়াবাকপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী হাফেজ আবদুর রবের বাসায় তার বৃদ্ধা মা মরিয়ম বেগম (৭৫), ভগ্নিপতি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সফিকুল আলম (৬৫) ও বাড়ির পুকুর থেকে খালাতো ভাই ইউসুফের (২২) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।