জুমবাংলা ডেস্ক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘বন্ধুত্ব ও বন্ধু পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু প্রতিবেশী কখনো পরিবর্তন করা যায় না। ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে একদিকে ছিল বঙ্গোপসাগর, অন্যদিকে ছিল ভারত। ভারত যদি এক কোটি মানুষকে আশ্রয় না দিত তাহলে আমাদের বঙ্গোপসাগরে ডুবে মরা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। আশ্রয় দিয়ে যুদ্ধে সহায়তা করে এ দেশকে স্বাধীন করার সুযোগ করে দিয়েছিল ভারত সরকার। কাজেই ভারত আমাদের আজীবন প্রতিবেশী থাকবে, এটাই সত্যি।’
শনিবার বিকেলে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থায়নে সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ‘ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটরিয়াম’-এর উদ্বোধনী নামফলক উন্মোচন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। উপজেলা পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ভারতের সাথে ইন্দ্রিরা চুক্তির পর দেশের বিভিন্ন সংগঠন বলে বেড়িয়েছে বাংলাদেশকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অথচ চুক্তি বাস্তবায়নের পর দেখা গেল বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন বাংলাদেশের উন্নয়ন হবেই হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর ২১ বছরে স্বাধীনতাবিরোধীচক্র ক্ষমতায় এসে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশকে পুনর্গঠন করেন। মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশ এখন উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতার বাইরে থাকে তখন দেশের ৬৪ জেলায় একসাথে বোমাবাজি হয়। বিগত ১৩ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের বিদ্যুৎ খাত, শিল্পখাত ও খাদ্য উৎপাদনে রেকর্ড স্থাপন করেছেন। স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসন থেকে শুরু করে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে কেউ আটকাতে পারবে না।
জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি হোসনে আরা, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল আব্দুন নাসের বাবুল, পৌর মেয়র আব্দুল কাদের শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিকুল ইসলাম মানিক প্রমুখ।
এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম উপজেলার গুঠাইল নৌবন্দর-সিরাজাবাদ-বকশীগঞ্জ কামালপুর স্থলবন্দর পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ও দুটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান তাঁর সাথে ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।