জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা হয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার পথে একাত্তর টেলিভিশনের সিইও মোজাম্মেল হক বাবু এবং দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা।
তাদের সঙ্গে আরো আটক হয়েছেন একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান এবং প্রাইভেটকারের চালক সেলিম।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে ধোবাউড়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
একাত্তর টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে। আমাকে আমার স্যার মোজাম্মেল হোসেন বাবু সীমান্তে দিয়ে আসার কথা বলেন। তারপর আমি নিয়ে আসার পথে দশটি মোটরসাইকেল পথ রুদ্ধ করে। আমাদেরকে আটকিয়ে কিলঘুষি দিয়ে, আমাদের কাছে থাকা টাকা পয়সা চেক করে সবকিছু নিয়ে যায়। কী কী নিছে আমি বলতে পারবো না।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চান মিয়া বলেন, সোমবার ভোর ৬টার দিকে ধোবাউড়ার দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামামাঝি এলাকায় একটি প্রাইভেটকারসহ চারজনকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানা হেফাজতে নেয়।
তিনি বলেন, ‘তারা সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ‘সাংবাদিকতার আড়ালে জাতীয় স্বার্থ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার’ অভিযোগে যে ৫১জন সাংবাদিককে কর্মস্থল থেকে বহিষ্কার এবং সাংবাদিক অঙ্গনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী অন্দোলনকারীরা, সেখানে শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবুর নামও ছিল।
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া হয়ে সপরিবারে ভারতে যাওয়ার সময় শ্যামল দত্তকে আটকে দিয়েছিল ইমিগ্রেশন পুলিশ। তবে এর পর থেকে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। আর মোজাম্মেল বাবু সরকার পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।