ভিটামিন এ হার্ট, ফুসফুস, কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। তবে এই ভিটামিন আমাদের কতটুকু গ্রহণ করতে হবে কিংবা বেশি বা কম গ্রহণ করলে কী হতে পারে, কোথায় মিলবে ভিটামিন এ—এসব বিষয় মাথায় থাকলে আমাদের ভুল কম হবে।
ভিটামিন এ কম খেলে কী ক্ষতি হয়?
ভিটামিন এ-এর অভাবের ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
• দৃষ্টিশক্তির সমস্যা: ভিটামিন এ-এর অভাব রাতকানা রোগের একটি প্রধান কারণ। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ভিটামিন এ-এর অভাব থাকলে কর্নিয়ার আলসার ও অন্ধত্বও হতে পারে।
• ত্বকের সমস্যা: ভিটামিন এ ত্বকের কোষকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। এর অভাবে শুষ্ক ত্বক, খুশকি ও একজিমা হতে পারে।
• ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হওয়া: ভিটামিন এ আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এর অভাব সংক্রমণের প্রতি আরও বেশি সংবেদনশীল করে তোলে।
• বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া: শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন এ-এর অভাব বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং শারীরিক বিকাশকে প্রভাবিত করে।
• অন্যান্য সমস্যা: ভিটামিন এ-এর অভাবে অন্যান্য সমস্যা, যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি, হৃদ্রোগ ও কিছু ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ভিটামিন এ গ্রহণের আদর্শ পরিমাপ
৩ বছর পর্যন্ত: প্রতিদিন ৬০০ মাইক্রোগ্রাম
৪-৮ বছর: প্রতিদিন ৯০০ মাইক্রোগ্রাম
৯-১৩ বছর: প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ মাইক্রোগ্রাম
১৪-১৮ বছর: প্রতিদিন ২ হাজার ৮০০ মাইক্রোগ্রাম
১৯+ বছর: প্রতিদিন ৩ হাজার মাইক্রোগ্রাম
মনে রাখবেন, ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ও কম ভিটামিন এ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কম হলেও চোখের ক্ষতি, বেশি হলেও চোখের ক্ষতি। তাই ভিটামিন গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিমাপ জেনে খাবেন। ভিটামিন মানেই শক্তি নয়, বেশি খেয়ে ক্ষতিও হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।