জুমবাংলো ডেস্ক : করোনা সন্দেহে এক গর্ভবতী নারীকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ফৌজিয়া। গভবর্তী নারীকে লাঞ্চিত করার ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে পরিস্থিতি প্রশমন করতে জেলা প্রশাসক দ্রুত হস্তক্ষেপ করেন।
সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের শহীদ ডাক্তার মিলনায়তন সভাকক্ষে বিএমএ, স্বাচিব ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং রোগীর স্বজনদের সাথে রুদ্ধদ্ধার বৈঠক করে। ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে চিকিৎসক ফৌজিয়া তার ভূল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ দৌলা খাঁন জানান, সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এখন থেকে তিনি এই রোগীর সকল চিকিৎসা করবেন বলে দায়িত্ব নিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন সকল রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
জেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার জানান, সমস্যা সমাধান হয়েছে।
বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার শওকত হোসেন এছাড়াও বিএমএর সভাপতি ডাক্তার আবু সাইদসহ চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, রবিবার জেলার নবীনগর উপজেলার বিডঘর গ্রামের মাওলানা জুনায়েদ আহমদ তার গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে হলিল্যাব হসপিটালে যান। সিরিয়াল অনুযায়ী গর্ভবতী নারী চেম্বারে প্রবেশ করলে ডাক্তার তাকে তির্যক ভাষায় কথা বলতে থাকে।
করোনা রোগী কি না এ নিয়ে তাকে লাঞ্চনা করে। তার স্বামী মাওলানা জোবায়ের এর জানাজায় গিয়েছিল কি না তা জানতে চান। এক পর্যায়ে চেম্বার থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দেন।
পরে তিনি চিকিৎসা ছাড়াই বাড়ি ফেরত যান। এ খবর জানাজানি হলে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়, প্রস্তুতি শুরু হয় মিছিলের।
এরপর খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক তড়িৎ হস্তক্ষেপ করে সোমবার বৈঠক করে উত্তেজনা প্রশমন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।