জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের সিংড়ায় দুধের ন্যায্য দাম ও ক্রেতা না থাকায় দুধ মাটিতে ঢেলে প্রতিবাদ করেছেন দুগ্ধ খামারিরা। শুক্রবার ও শনিবার সকালে উপজেলার কলম ইউনিয়নের বাহাদুরপুর বটতলা এলাকায় প্রায় ৩০ জন দুগ্ধ খামারি মাটিতে দুধ ঢেলে এই প্রতিবাদ জানান।
খামারিরা জানান, দুধের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা লিটার হলেও লকডাউনের কারণে এখন তাদের ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রয় করতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিন লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে খড় ও ভুসির দাম বেশি থাকায় এবং দুধের দাম কম হওয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন অনেক খামারি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কলম, চামারি ও হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের গ্রামগুলোর প্রায় প্রতি বাড়িতেই গড়ে উঠেছে পারিবারিক ক্ষুদে খামার। এসব একেক খামার থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ লিটার দুধ বিক্রির জন্য আসে স্থানীয় বাজারে। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা না থাকায় বিপদে খামারিরা। কলম, চামারি ও হাতিয়ান্দহ বাজারে সাধারণত মহাজনের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে প্রাণ ও আড়ং দুধ কিনে।
শুক্রবার ও শনিবারসহ অন্যান্য ছুটির দিন তাদের দুধ কেনা বন্ধ থাকে। এ কারণে সপ্তাহে এই দুইদিন দুধ বিক্রি করতে না পরায় আরও লোকসানে পড়েছেন খামারিরা। ১৫ থেকে ২০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করতে হচ্ছে দুধ। এই কষ্টের সঙ্গে দুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা। এজন্য তারা দুধ মাটিতে ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ কেনার দাবি তাদের।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. খুরশীদ আলম বলেন, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে প্রায় ৬০০টি দুগ্ধ খামার আছে। আমরা কলম, চামারি, হাতিয়ান্দহ, ইটালী ও ডাহিয়া ইউনিয়নসহ দুগ্ধ খামার এলাকার সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সুপারিশ পাঠিয়েছি। আশা করছি, আগামীতে এই এলাকায় দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্রে গড়ে উঠলে, খামারিরা সরকারী ব্যবস্থাপনায় দুধের ন্যায্যমূল্য পাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।