জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার বেড়ায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা মিলাদ দিয়ে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন উদ্বোধন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে বেড়া উপজেলা রূপপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম বকুল যমুনা নদী পাড়ে ড্রেজার মেশিনের ওপর এই মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, বেড়া উপজেলা রূপপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও খানপুরা গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম বকুল সম্প্রতি প্রায় অর্ধকোটি টাকা দিয়ে ‘বলগেট’ ড্রেজার মেশিন ক্রয় করেন। শনিবার বিকেলে মিলাদের মাধ্যমে কর্মীদের নিয়ে এই বলগেট মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করা হয়।
স্থানীয় মোতালেব মিয়া জানান, মিলাদ মাহফিলের পর ড্রেজার দিয়ে নদীতে বালু উত্তোলন অন্যায় এবং চরম অবমাননাকর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বালু ব্যবসায়ী একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। সে অবৈধভাবে নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। এ ব্যাপারে নগরবাড়ী ঘাটের নৌপুলিশ তাকে আসামি করে মামলাও করেছে ইতিপূর্বে।
শনিবার সে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে নতুন ড্রেজান মেশিন কিনে আবার বালু উত্তোলন শুরু করেছে। বকুলের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পায় না। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি ও অনেক বাড়িঘর নদী গর্ভে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে রুপপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম উজ্জ্বল বলেন, রেজাউল করিম বকুল বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে কোনো পদ পদবি নেই। তবে সে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। সে আওয়ামী লীগের নাম ব্যাবহার করে এসব অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। যার ফলে অনেক সময় আমরাও বিব্রত হই। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এই ইউনিয়নের সাধারণ কৃষকদের জমিজমা ছাড়া ভিটেমাটিও যমুনা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমি নিজেও স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারকে অবহিত করেছি বিষয়টি। তিনি কয়েকবার এসে জরিমানা ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। তারপরও থেমে নেই।
এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা রূপপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও খানপুরা গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম বকুলের সঙ্গে কয়েক বার মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
নাম প্রকাশ না করে তার ফোনে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এক নারী বলেন, বকুলের জ্বর এসেছে। এখন ঘুমিয়ে আছে কোনো কথা বলতে পারবে না।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যেমে জানতে পারলাম। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।