জুমবাংলা ডেস্ক: হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পূর্ব শিমুলিয়াম গ্রামের ফসলের মাঠ। আশপাশে বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত। মাঝখানে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন কৃষক মো. মাওলা মিয়া। মিষ্টি কুমড়া চাষে তিনি সফলতা পেয়েছেন। তার প্রায় ৩০ শতক জমিতে মাচায় ও মাটিতে উন্নতজাতের মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। গাছে গাছে মিষ্টি কুমড়া।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ক্ষেত থেকে মিষ্টি কুমড়া সংগ্রহ করছেন মাওলা মিয়া। বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাবেন। চাষ নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয় তার। তিনি বলেন, জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া চাষ করার পরিকল্পনা করি। আমাকে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামিমুল হক শামীম। তার সহায়তায় আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জৈবিক কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনায় মিষ্টি কুমড়া চাষ করি।
তিনি বলেন, বীজ রোপণের দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। এর কিছুদিন পর গাছে মিষ্টি কুমড়া শোভা পায়। গাছ থেকে মিষ্টি কুমড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করছি। এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করেছি। আরও প্রায় ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, মিষ্টি কুমড়া চাষে তেমন ঝুঁকি নেই। রোগ বালাই কম। জমিতে অধিক পরিমাণে গোবর ও জৈব সার প্রয়োগ করা হয়েছে। বিষ দিতে হয়নি বলেই খেতে সুস্বাদু। আমার এ মিষ্টি কুমড়া বাজারে নিয়ে গেলে দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। আমার সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া চাষে আগ্রহী হয়েছেন। তারাও জমি প্রস্তুত করছেন কুমড়া চাষের জন্য।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, শ্রমের সঙ্গে সঠিক পরামর্শ প্রয়োজন। এখানে মিষ্টি কুমড়া চাষে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামিমুল হক শামীমের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ পেয়েছেন কৃষক মো. মাওলা মিয়া। এ কারণে তার জমিতে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলার দ্বিমুড়া কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শামিমুল হক শামীম বলেন, কৃষক মো. মাওলা মিয়া কঠোর পরিশ্রমী। তিনি ১২ মাস নানা ধরনের ফসল চাষ করছেন। ফসল চাষে তিনি আমার কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি ৩০ শতক জমি আবাদ করে উন্নত জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ রোপণ করেন।
তিনি বলেন,গাছ কিছু বড় হওয়ার পর ফুল আসে। পরে গাছে গাছে মিষ্টি কুমড়ার ফলন হয়। তিনি (মওয়া মিয়া) বিষমুক্ত মিষ্টি কুমড়া চাষে ফেরমোন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক ও জৈব সার ব্যবহার করেছেন। তার সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরাও মিষ্টি কুমড়া চাষে উৎসাহিত হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।