আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে একদিনে একশ’রও বেশি বিক্ষোভকারীর মৃত্যুতে ১২টি দেশ মিয়ানমারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে৷ খবর ডয়চে ভেলের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে৷
সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানলাম, সেখানে অনেক মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে৷ এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, ভীষণ নিন্দনীয়৷
যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি৷
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিয়ো গুতেরেস টুইট বার্তায় বলেছেন, (মিয়ানমারে) সেনাবাহিনীর বিরামহীন অভিযান একেবারেই মেনে নেয়া যায় না৷ আন্তর্জাতিক মহলের খুব তাড়াতাড়ি এক হয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা দরকার৷
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ইটালি, ডেনমার্ক, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানরা ইতিমধ্যে অং সান সু চি-র মুক্তি এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞ চালানোয় মিয়ানমার সেনা সরকারের নিন্দা জানিয়েছে৷
এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরস্ত্র মানুষের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী বাহিনীর মারণাস্ত্র ব্যবহারের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই৷
সেখানে আরও বলা হয়, পেশাদার বাহিনী সব সময় জনগণকে রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কাজ করে, তাদের হত্যা করার জন্য নয়৷
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস-ও এ বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে টুইটারে লিখেছেন, আমার চিন্তা এবং সহানুভূতি মিয়ানমারের স্বজনহারা পরিবারগুলোর পক্ষে৷
মিয়ানমারের সশস্ত্রবাহিনী দিবসে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে একশ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী৷ ইইউ-এর এক প্রতিনিধি দল মনে করে ওই দিনিটি মানব ইতিহাসে ‘সন্ত্রাস ও অশ্রদ্ধার দিন’ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷
মিয়ানমারে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৪২০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ দিয়েছেন৷ গত শনিবার দেশটির ৪৪টি শহরে ১১৪ জন সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যায়৷ নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু৷
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।