স্পোর্টস ডেস্ক : অপেক্ষা শেষে আজ রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরের দ্বিতীয় পর্বের পর্দা উঠেছে।
১৪তম আসরের ৩০তম ম্যাচে আজ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তিনবারের শিরোপাজয়ী চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর বিপর্যয় সামলে রুতুরাজ-জাদেজা এবং ব্রাভোর শেষ ওভারের ক্যামিওতে চেন্নাইয়ের ইনিংস থামে ১৫৬ রানে। জিততে হলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে করতে হবে ১৫৭ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দুই ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২ রান তোলে ধোনির চেন্নাই। এরপর ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে রাহুল চাহারের হাতে ধরা পড়েন সুরেশ রায়না। ১ বাউন্ডারির সাহায্যে ৬ বলে ৪ রান করে ক্রিজ ছাড়েন তিনি। চেন্নাই দলীয় ৭ রানে ৩ উইকেট হারায়।
এরপর হাল ধরতে ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে তিনিও হতাশ করেছেন। ষষ্ঠ ওভারের অ্যাডাম মিলিনের শেষ বলে বোল্টের হাতে ধরা পড়ে যান চেন্নাই অধিনায়ক। ৫ বলে ৩ রান করে ক্রিজ ছাড়েন ধোনি। পাওয়ারপ্লে’র ৬ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৪ রান তুলে তারা। আউট হয়ে গেছেন ডু’প্লেসি, মঈন, রায়না ও ধোনি। চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন আম্বাতি।
এরপর রুতুরাজ গায়কোয়ার্ড ও রবীন্দ্র জাদেজার ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় চেন্নাই। তবে ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে রবীন্দ্র জাদেজাকে ফেরান বুমরাহ। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৩ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন জাদেজা। শততম আইপিএল ম্যাচে মাঠে নামা বুমরাহর এটিই ছিল প্রথম উইকেট।
এরপরই ক্রিজে আসেন ক্যারিবীয় দানব ডোয়েন ব্র্যাভো। ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ২৩ রান করে বুমরাহর বলে পান্ডিয়ার হাতে ধরা পড়েন ব্র্যাভো। অন্যদিকে, গায়কোয়ার্ড ৫৮ বলে ৮৮ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
করোনাভাইরাসের কারণে ঘরের মাঠ ভারতে শুরু হওয়ার পর মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আইপিএল। তবে পরিস্থিতি পাল্টেছে অনেকটাই। আবারও শুরু হতে চলেছে বলে-ব্যাটের লড়াই। সেই সঙ্গে গ্যালারিতে ফিরছে দর্শকও। এর আগে ভারতে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে মাঠে গড়িয়েছিল এবারের আসর। সংযুক্ত আরব আমিরাতের করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় আশা করা যাচ্ছে প্রথম ম্যাচ থেকেই গ্যালারিতে দেখা যাবে দর্শকদের।
২০১৯ সালের পর আইপিএলের ম্যাচে প্রথমবারের মতো দর্শকদের দেখা যাবে। তবে কত শতাংশ দর্শক ফেরানো হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি। আসর শুরুর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যাচের টিকিট ছাড়া শুরু করে আয়োজকরা।
পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে দিল্লি। ৮ ম্যাচে জিতেছে ৬টাতেই। ১ ম্যাচ কম খেলে সমান ১০ পয়েন্ট চেন্নাই আর ব্যাঙ্গালোরের। এরপরেই মুম্বাই। ফিজের রাজস্থান পাঁচে আর সাকিবের কলকাতার অবস্থান সাত নম্বরে। সব কিছু ঠিক থাকলে ১৫ অক্টোবর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।