জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণের জঘন্যতম অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন মুন্না ভগত (২০) নামে এক ডোম সহকারী। এরপর তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হতো, সেই লাশের মধ্য থেকে নারীদের ধর্ষণ করতেন মুন্না বলে জানায় সিআইডি।
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন গ্রেফতার হওয়া মুন্না ভগত। সম্পর্কে তিনি মামা হতেন।
এ বিষয়ে মুন্নার মামা জতন কুমার লাল জানান, ‘মুন্না গত দুই-তিন বছর ধরে তার সহযোগী হিসেবে মর্গে কাজ করে। তার বাবার নাম দুলাল ভগত। গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ বাজারে। সে আরও দুই-তিন জনের সঙ্গে মর্গের পাশে একটি কক্ষেই রাতে থাকতো।’
তিনি জানান, ‘মুন্নাকে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ। এ কারণে তারা বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর- ১২৩৬) দায়ের করেন।’
জতন লাল কুমার আরও জানান, ‘মুন্না মাঝে মধ্যে গাঁজা বা নেশাটেশা করতো। কিন্তু এ রকম একটি কাজ সে করতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।