জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ‘এম ভি শাহরুখ-২’ নামের একটি লঞ্চ প্রায় এক হাজার যাত্রী নিয়ে মেঘনা নদীর চরে আটকা পড়েছে। লঞ্চটি গতকাল মঙ্গলবার বিকেল চারটায় বরগুনা নৌবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গিয়ে দিবাগত রাত তিনটার দিকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জসংলগ্ন মেঘনা নদীতে চরে আটকে পড়ে।
আজ বুধবার সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চটি চরে আটকে ছিল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা।
একজন যাত্রীর অভিযোগ, লঞ্চটি মেঘনার কালীগঞ্জ চ্যানেল যখন অতিক্রম করছিল, তখন অদক্ষ চালক এর সামনের অংশ ডাঙায় তুলে দেন।
আরেক যাত্রী মনির চৌধুরী বলেন, প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে আটকা পড়ে থাকলেও তারা লঞ্চের কর্মচারীদের কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছেন না। এমনকি তারা কোথায় আছেন, সে হদিসও পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে যাত্রীরা সবাই গভীর উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন।
এদিকে যাত্রীদের দুর্ভোগের সুযোগ নিয়ে লঞ্চের ক্যানটিনে খাবারের দাম দ্বিগুণ-তিন গুণ করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বেশ কয়েক বছর মেঘনা নদীতে ধরে শীত মৌসুমে নিয়মিত নাব্যতা–সংকট দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে বরিশালের হিজলা উপজেলা ও চাঁদপুরের মধ্যবর্তী মেঘনার বিশাল অংশের নাব্যতা–সংকট ‘মিয়ারচর’ চ্যানেলের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। নাব্যতা–সংকট এত প্রকট হয়ে ওঠায় মিয়ারচর চ্যানেলকে নৌযান চলাচলের অনুপযোগী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ চ্যানেলকে অনুপযোগী ঘোষণার পর নৌযানগুলো বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। কিন্তু বিকল্প চ্যানেলও এখন নাব্যতা–সংকটে পড়েছে। ফলে প্রায় দিনেই যাত্রীবাহী নৌযান আটকা পড়ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।