জুমবাংলা ডেস্ক : বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। দুপুরে সাজানো দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে বরযাত্রী এসেছেন কনের বাড়িতে। বরযাত্রীসহ সব মেহমানের খাওয়া-দাওয়াও সম্পন্ন।
কিছুক্ষণ পরেই মৌলভী আসলেই পড়ানো হবে বিয়ে। কিন্তু সেখানে মৌলভী পৌছানোর আগেই গিয়ে হাজির হলেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা আবদুস সালাম সিদ্দিকী।
সরকারি এ কর্মকর্তা বর ও কনের জন্মনিবন্ধন সনদ দেখতে চাইলে অভিভাবকরা সেটি তার সামনে হাজির করেন। কিন্তু সনদ অনুযায়ী বর ও কনে উভয়েই অপ্রাপ্তবয়স্ক।
এ অবস্থায় তিনি এ বিয়ে বন্ধ করার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন। অন্যথায় বাল্যবিয়ের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
পরে মুচলেকা দিয়ে উভয়পক্ষ বিয়ে বন্ধের ঘোষণা দেন। বৌ ছাড়াই ফিরে যায় বরযাত্রী।
ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুরে রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মৈজদ্দিন মণ্ডল পাড়ায়।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবদুস সালাম সিদ্দিকী জানান, মৈজদ্দিন মণ্ডলপাড়ার লিয়াকত খানের মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী রুনা আক্তারকে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের হোসেন মণ্ডলপাড়ার রশিদ পাঠাদারের ছেলে রাহিম পাঠাদারের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি চলছিল। গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে বুধবার বেলা ৩টার দিকে তিনি সেখানে গিয়ে হাজির হন।
সেখানে উভয়পক্ষকে বাল্যবিয়ের কুফল ও আইনগত নিষেধের বিষয়ে জানানো হলে তারা মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন বলে তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।