মেহেরপুরে সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে এবং মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে মেহেরপুর সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মহাম্মদ, পৌর বিএনপির সভাপতি লতিফ বিশ্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান ও মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম।
বক্তারা অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয়ভাবে ঘোষিত মনোনয়ন তালিকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে সাবেক এমপি মাসুদ অরুণকে প্রার্থী করা হয়েছে, যা নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়েজ মহাম্মদ বলেন,“কয়েক মাস আগে মেহেরপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে সাবেক এমপি মাসুদ অরুণকে শুধু সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছিল, কোনো নেতৃত্বের পদ দেওয়া হয়নি। বর্তমান কমিটি বিভিন্ন ইউনিটে সংগঠনকে নতুনভাবে সুসংগঠিত করেছে। কিন্তু সেই কমিটির মতামত উপেক্ষা করে একতরফাভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আমরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এই মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।”
তিনি আরও যোগ করেন,“সুসংগঠিত জেলা কমিটিকে উপেক্ষা করে দলের ভবিষ্যৎকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে।”
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এহান উদ্দিন মনা বলেন, “মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই মাসুদ অরুণের সমর্থকরা বিএনপির কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন। মেহেরপুর জেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী—এভাবে হুমকি দিয়ে লাভ হবে না।” তিনি মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানান।
এর আগে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর মেহেরপুর-২ আসনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ হয় এবং পরদিন উভয় পক্ষের সংঘর্ষে দলীয় অফিস ভাঙচুর ও অন্তত ১০ জন আহত হন।
দুই দিনের ব্যবধানে জেলার দুই আসনেই মনোনয়ন ইস্যুতে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে, যা জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।
নারী নেত্রীরা জাতীয় সংসদের ৫০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণের দাবি জানালেন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



