জুমবাংলা ডেস্ক : মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচনী মাঠ থেকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মশিউর রহমান সবুজকে পুলিশের গাড়িতে তুলে ঢাকায় নেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোরশেদ আলমের স্বাক্ষরিত এক স্মারকপত্রে এই কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও ২২ ফেব্রুয়ারি কাগজ হাতে পান সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি প্রথমে গোপন থাকলেও বুধবার সকালে গণমাধ্যমে জানাজানি হয়।
কমিটির প্রধান ও আহ্বায়ক করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক হুমায়ুন কবিরকে। এ ছাড়া বাকি দুই সদস্য হলেন- নির্বাচন কমিশনের শৃঙ্খলা ও আপিল বিভাগের উপসচিব খোরশেদ আলম, আইনবিষয়ক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু ইব্রাহীম।
তদন্ত কমিটিকে পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিখোঁজের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশের ভূমিকা, দোষী ব্যক্তিকে চিহ্নিতকরণ, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন, ভবিষ্যতে এ ঘটনায় পুনরাবৃদ্ধি না ঘটে এ ব্যাপারে সুপারিশের বিষয়ে তদন্তে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে কালকিনি পৌর এলাকার পালপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারণা থেকে মেয়রপ্রার্থী মশিউর রহমানকে কালকিনি থানার ওসি নাছিরউদ্দিন গাড়িতে করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানের কাছে নিয়ে যান। পরে পুলিশ সুপারের গাড়িতে করে সবুজকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় সবুজের মোবাইল ফোন বন্ধ পেলে বিষয়টি নিখোঁজ দাবি করে কালকিনি থানা ঘেরাও করে সবুজের কর্মী-সমর্থকরা। পরবর্তীতে নৌকা প্রার্থী এসএম হানিফের সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সবুজ নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর ওইদিন রাত ৩টার দিকে নিজ বাড়িতে ফেরেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিখোঁজের ঘটনায় এই পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।