আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনায় বয়স্ক ও শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও সব বয়সের মানুষই প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইউরোপে কভিড-১৯ এ মৃতের শতকরা ৯৫ ভাগ পুরুষ, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি। চীনে শতকরা ৩০ ভাগ মানুষের বয়স ৬০ বছরের চেয়ে বেশি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যার হিসেবে শতকরা ১৫ শতাংশ মানুষের বয়স ৫০ বছরের নিচে।
প্রচলিত ধারণা আছে যে, করোনায় বয়স্কদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। চীন ও ইউরোপের মৃতের সংখ্যাও ঠিক তাই বলছে। যুক্তরাষ্ট্রে যাদের বয়স ৮৫ বা তার বেশি তাদের করোনায় মৃতের হার শতকরা ১০ থেকে ২৭ ভাগ। যাদের বয়স ৬৫ থেকে ৮৪ তাদের মৃতের হার শতকরা ৩ থেকে ১১ ভাগ, আর যাদের বয়স ৫৫ থেকে ৬৪ তাদের মৃতের হার ১ থেকে ৩ শতাংশ। যাদের বয়স ২০ থেকে ৫৪ তাদের মৃত্যু হার শতকরা ১ ভাগের চেয়েও কম। তবে ২০ থেকে ৫৪ বছরের এই মৃত্যুহারের তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এই তথ্যকে ভুল দাবি করছে ওয়াশিংটন পোস্টের বিশ্লেষণে প্রকাশিত নতুন তথ্য।
গেল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে যে ১৬ হাজার মানুষ করোনায় মারা গেছে তার মধ্যে ৭৫৯ জনের বয়স ৫০ এর কম। এতে শতকরা হিসেবে দাঁড়ায় ৪.৮ যা আগে বলা হয়েছিল শতকরা ১ ভাগেরও কম। খুব অবাক করা হলে সত্য যে ২০ বছরের নিচে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃতের সংখ্যা নয়। ১৯ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১০ জনেরও কম প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এই মৃত্যুর মধ্যে দুটি যুক্তরাষ্ট্রের।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে যাদের বয়স ২০ বছরের মধ্যে তাদের মধ্যে ৪৫ জন, ৩০ বছরের মধ্যে ১৯০ জন এবং ৪০ বছরের মধ্যে ৪১৩ জন মারা গেছে। এছাড়া ৫০ এর নিচে ১০২ জন মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। তরুণদের আক্রান্ত হওয়ার হার আরো বেশি হতে পারে বলে দাবি করছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।