জুমবাংলা ডেস্ক : পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যেই দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট ইউএনও’র উপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছেন আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা দলের বিশেষজ্ঞরা। উপর্যুপরি হামলার পর ইউএনও ওয়াহিদা খানম মারা গেছেন তা ভেবেই দুর্বৃত্তরা স্থান ত্যাগ করে। বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভুইয়া, পুলিশের ডিআইজি দেবদাশ ভট্রাচার্য, র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার লে.ক. রেজা আহমেদ ফেরদৌসসহ উধর্বতন কর্মকর্তারা।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের উপর দুর্বৃত্তদের নৃশংস হামলার মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম। ইউএনও’র ভাই ফরিদ শেখ এই মামলার বাদি হবেন। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম (৩৫)কে আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ থেকে এয়ার এম্বুল্যান্স যোগে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সাইন্স এন্ড হসপিটালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তোফায়েল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ইউএনওর মাথার বাম দিকে বেশি আঘাত লেগেছে। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ধাতব কোনো বস্তু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তাঁর শরীরের ডান দিক অবশ হয়ে গেছে।
ইউএনও’র ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটায় তাঁর সরকারি বাসভবনে। ১/২ জন দুর্বৃত্ত মইয়ের সাহায্য ২য় তলার বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে তাঁর বাসভবনে প্রবেশ করে। প্রথমে বাসায় অবস্থানরত নওগা থেকে আসা তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর শেখ (৭২)কে মারধর করে বাথরুমে আটকিয়ে রাখে৷ এরপর দুর্বৃত্তরা ইউএনও ওয়াহিদা খানম (৩৫)কে হাতুড়ি ধরনের কোন অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।