জুমবাংলা ডেস্ক :
বহুল আলোচিত রাজধানীর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলা হাইকোর্টে ঝুলে আছে। বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রবিবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকলেও আদালত শুনানি মূলতবি করেছেন। আগামী ১৪ মার্চ পর্যন্ত মামলাটির শুনানি মূলতবি করে এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের এই বেঞ্চে দিনের কার্যতালিকার এক নম্বরে মামলাটি থাকলেও রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদনে এ দিন নির্ধারণ করেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহিন আহমেদ খান।
প্রায় ৭ বছর আগে ২০১৪ সালের ২৩ জুন নিম্ন আদালতে রায় হলেও হাইকোর্টে মামলাটির বিচার ঝুলে আছে। এই মামলাটি এই মামলাটিতে ২০১৬ সালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হলেও পরবর্তীতে এই আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে গত ৫ বছরে মামলাটি হাইকোর্টের আরো কয়েকটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসলেও আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন ও বেঞ্চের বিচারকের পরিবর্তন এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের প্রেক্ষাপটে শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে দীর্ঘদিন পর মামলাটি শুনানির জন্য আবারো হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলায় দন্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলা দুটিতে একইবছরের ১৬ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়। এরমধ্যে হত্যা মামলায় বিচার শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইবছরের ২৬ জুন ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য ঢাকার আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। কারাবন্দি আসামিরাও আপিল করে। এরপর প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি সিলেটের একটি মামলায় (ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলা) কার্যকর হওয়ায় এই মামলায় তার আর বিচার হচ্ছে না। ফলে এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন-মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান। তাঁদের মধ্যে তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর, শফিকুর রহমান ও আবদুল হাই পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আব্দুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহের। এরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা-কর্মী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।