জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর ‘জাফর ইমাম আন্তর্জাতিক টেনিস কমপ্লেক্স’ থেকে রাজাকার ‘জাফর ইমাম’র নাম বাদ দেয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার সকালে এই দাবিতে মাববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।‘রাজশাহী জেলা ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের মুক্তিযোদ্ধা’ ব্যানারে মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সকালে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনের আয়োজন করা এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশও হয়।
এর আগে মঙ্গলবার একই দাবিতে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে রাজশাহী জেলা ও মহানগরের মুক্তিযোদ্ধারা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সময় জাফর ইমাম রাজশাহীতে বুদ্ধিজীবীসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষদের তালিকা তৈরিতে ভূমিকা রেখেছেন। তৎকালীন মুসলিমলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আয়েন উদ্দিনের সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে জীপে করে তিনি প্রকাশ্যে রাজশাহী শহর দাঁপিয়ে বেড়াতেন। এছাড়া রাজশাহী সার্কিট হাউজ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পেও ছিল তার যাতায়াত।
জাফর ইমামগংদের তালিকা ধরেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহীতে দীর্ঘ নয় মাস সাধারণ ও নিরীহ মানুষদের হত্যা করেছে। এছাড়া জাফর ইমাম রাজশাহীতে এনএসএফ এর মূল সংগঠক হিসেবে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের অনেক নেতাকর্মীদের উপর নানান সময়ে হামলার মূল কুশীলবও ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ‘স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী আন্তর্জাতিক টেনিস কমপ্লেক্স থেকে কুখ্যাত রাজাকার জাফর ইমামের নাম অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আবারও তার নাম টেনিস কমপ্লেক্স থেকে অবিলম্বে অপসারণের জোর দাবি জানাচ্ছি’।
কর্মসূচিতে রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নান, মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার শফিকুর রহমান রাজা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ আলী কামাল ও রবিউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশাসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতার অনেক আগেই রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালে মারা যান রাজাকার জাফর ইমাম। তিনি ক্রীড়া সংগঠকও ছিলেন। ২০০৫ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তার নামে রাজশাহী টেনিস কমপ্লেক্সটির নামকরণ হয়। এরপর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করলে ‘নামকরণ’ বাতিল করে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বা বুদ্ধিজীবীর নামে এ কমপ্লেক্সটি নামকরণের দাবিতে মুক্তিযোদ্ধারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।