জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারের চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভা ও চার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। এদিন, তিনটি ভিন্ন টিমের নিরাপত্তার মধ্যে দুই দিয়ে পৌরসভার ২৮টি ও ইউপি’র ১৪০ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া ও মহেশখালী পৌরসভার সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৪০টি কেন্দ্রে ব্যালেট পেপারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্ব-স্ব কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় চলে গেছেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্ততি রয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য মতে, মহেশখালী পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৮৪ এবং চকরিয়া পৌরসভায় ৪৮ হাজার ৭২৪ জন। মহেশখালীতে ১০টি ভোটকেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৫৯টি এবং চকরিয়া পৌরসভায় ১৮টি ভোটকেন্দ্রে ১৩৯টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে একটি করে ইভিএম মেশিন থাকবে। দুই ধাপে ভোটারদের শনাক্ত করা হবে। ভোট দানের সময় স্ব স্ব ভোটার তার নিজের ছবি ইভিএম মেশিনে দেখতে পাবে।
পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১১ হাজার ২৩৪জন। সেখানে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৫ এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫১ হাজার ১২ জন। ৪ উপজেলার ১৪০টি ভোটকেন্দ্রে ৭৮০টি স্থায়ী ও ১১৩টি অস্থায়ী ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার এস. এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সোমবার জেলার ১৪ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইভিএমে ভোট দেওয়ার কৌশল মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ভোটারদের মাঝে প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়া ভোট কাজে জড়িত থাকবে, এমন প্রায়ই দুই হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যেকোন ধরনের সহিংসতা রোধে পুলিশের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। অতীতে এই জেলার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হয়, সেটি মাথায় রেখেও পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ২ পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রত্যেক কেন্দ্রে পোষাকধারী পুলিশের পাশপাশি সাদা পোষাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে পুলিশ প্রত্যেক প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে, আলোচনা করেছে, সতর্ক করেছে। সহিংসতা এডিয়ে চলতে সবাইকে সাবধান করা হয়েছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে কেউ সহিংসতা চালাতে চাইলে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের জীবনের অনেক মূল্য। কোনো প্রাণহানি যেন না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম মহানগর থেকে আগত বিপুল সংখ্যক পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়। নির্বাচণে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, আনসার সদস্যরাও কাজ করবে।’
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনূর রশীদ বলেন, ‘সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পুলিশ, আনসার , বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে। পাশাপাশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে নির্বাচনের দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘সব ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পেশাদারিত্বের সঙ্গে আমরা কাজ করে যাবো। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’ভোটাররা যেন ইচ্ছেমতো পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।