জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি মাসের শুরুর দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর থানায় একটি হ*ত্যা মামলায় আসামি করা হয় আবদুর রশিদ নামে এক ব্যক্তিকে। কিন্তু অনেক খুঁজেও তাকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। অবশেষে তাকে ধরতে রিকশাচালকের ছদ্মবেশ নেন সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহমেদ।
অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার সাভার থেকে অভিযুক্ত রশিদকে আটক করতে সমর্থ হন এসআই ফয়সাল।
সখীপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বরের সখীপুরের ঘাটেশ্বরী গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবদুর রহিমের স্ত্রী আফরোজা আক্তার (৩০) বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। আফরোজার দেবর আবদুর রশিদের বিদ্যুৎ লাইন থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে দাবি করেন রশিদের চাচাতো ভাই জাবেদ আলী। মরদেহ সামনে রেখেই এ নিয়ে রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আবদুর রশিদ ও জাবেদ আলী। একপর্যায়ে আবদুর রশিদ ঘর থেকে একটি ছু*রি এনে জাবেদ আলীর পেটে ঢুকিয়ে দেন। এতে মারা যান জাবেদ। ঘটনার পর পালিয়ে যান রশিদ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে সেদিনই থানায় একটি হ*ত্যা মামলা করেন।
এদিকে, অনেক খুঁজেও আসামি রশিদকে না পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এসআই ফয়সাল আহমেদ। পুরোদস্তুর রিকশাওয়ালা সাজতে পরে নেন পুরনো লুঙ্গি-জামা, পায়ে ছেঁড়া স্যান্ডেল আর কাঁধে ঝোলান গামছা।
তিনি জানান, “স্থানীয়দের কাছ থেকে খোঁজ নেওয়ার পর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারি অভিযুক্ত আবদুর রশিদ হ*ত্যাকাণ্ডের পর সাভারের সিআরপি এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তাকে ধরতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রিকশা চালকের ছদ্মবেশে ওই এলাকায় অবস্থান নিই। সন্ধ্যায় তাকে একটি দোকানের পাশে দেখে পেছন থেকে জাপটে ধরি। সঙ্গে থাকা অন্য পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় তাকে হ্যান্ডকাফ পরাই।”
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ওসি আমির হোসেন বলেন, আসামি আবদুর রশিদকে গ্রেফতারে এসআই ফয়সালের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তিনি সবসময়ই দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, রিকশাচালক সেজে আসামিকে গ্রেফতারের পর ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।